থিয়েটার থেকে চলচ্চিত্র যোদ্ধা হয়ে উঠা, একজন এইচ আর হাবিব – দৈনিক মুক্ত বাংলা
ঢাকাবুধবার , ১০ আগস্ট ২০২২
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি-ব্যবসা
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরও
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কোভিট-১৯
  8. ক্যারিয়ার
  9. খেলা
  10. জেলার খবর
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. মি‌ডিয়া
  14. মু‌ক্তিযুদ্ধ
  15. যোগা‌যোগ
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

থিয়েটার থেকে চলচ্চিত্র যোদ্ধা হয়ে উঠা, একজন এইচ আর হাবিব

সম্পাদক
আগস্ট ১০, ২০২২ ৩:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন দৈনিক মুক্ত বাংলা বিনোদন প্রতিবেদক – এ, আই, শাওন
মুক্ত বাংলা – এইচ আর হাবিব ভাই, কেমন আছেন ।
হাবিব – ভাল।
মুক্ত বাংলা – আপনার ছবি ছিটমহল ইংল্যান্ডের আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফ্যাষ্টিভ্যালে টপ ফাইভে স্থান করে নিয়েছে । আপনার ভাল আছেন বলার উপর কি সেই প্রভাব পড়ছে কিছুটা।
হাবিব – হা হা হা। ছবি ফ্যাষ্টিভ্যালে শীর্ষ পাচে গেছে এই প্রভাবই ভাল থাকার জন্যে যথেষ্ট নয়, তাই না । ভাল থাকতে গেলে নিজের জীবনাচরণের সবকিছু পজেটিভলি ভাবতে হয় । অন্যেরা কেউ অস্বস্তিতে রাখতে চেষ্টা করলেও, আমার আপন আলোয়টি রাখতে হয় নিরাপদ ও বিশুদ্ধ । তাই সেখানে ফিরে বিচরণ করি পজেটিভলি সব সময়। তাই ভাল থাকি।
দেখুন আমি সব সময় মৌলিক গল্পে নিয়ে কাজ করি। তাই এক গল্প থেকে অন্যটিকে আলাদা করে উপস্থাপনের চেষ্টা করি ।
মুক্ত বাংলা – ছিটমহল ২০১৫ তে শুরু হলেও রিলিজ হয়েছে ২০২২ শে, কেন আসলে এই দেরি।
হাবিব – সর্বপরি প্রযোজনায় আর্থিক দৈন্যতা থাকলে যা হয়। অর্থ জোগার করে শুটিং পোষ্ট প্রোডাকশন করতে হয়েছিল। কয়েকজন তো অর্থ জোগার করে দিতে চেয়েও, মাঝ পর্যায়ে সরে গেছে। ফলে রিলিজে দেরি হয়েছে।
মুক্ত বাংলা – আপনি তো থিয়েটার থেকে এসেছেন চলচ্চিত্রে। থিয়েটার থেকে এসেই কি সবায় ভাল করে এই মাধ্যমে। যেমন তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হ’তে পারেন ফরীদি ভাই।
হাবিব – উনি আমাদের অভিনয়ের প্রবাদপুরুষ। ফরীদি ভাইসহ অনেকেই থিয়েটার থেকে এসেছেন তারা ভাল করছেন। অভিনয় শেখার জন্যে থিয়েটার অনেক ভালো জায়গা।
মুক্ত বাংলা – আপনি কি মনে করেন চলচ্চিত্রে যারা কাজ করতে চান তাদের থিয়েটার হয়ে আসা উচিত।
হাবিব – না তেমন নয়। যে কোন মাধ্যম থেকে যে কেউ আসতে পারেন চলচ্চিত্রে। শুধু লক্ষ্যের সাথে একাগ্রতা, অধ্যবসায় ও সময়জ্ঞাণ থাকাটা জরুরী। এই তিনের অভাব প্রকট এখন চলচ্চিত্রে। অধিকাংশই এই তিন মূলমন্ত্রকে অবজ্ঞা করেন। ফলে সেই সাফার যেমন তিনি নিজে করেন, সাথে পুরো চলচ্চিত্রকেও করান।
মুক্ত বাংলা – আপনাকে দেখা যায় অধিকাংশ সময় সবে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেছে ; এমনদের নিয়ে কাজ করতে । এর কি বিশেষ কোন কারণ আছে।
হাবিব – তা নেই। নতুনরা দ্রুত চরিত্রের সাথে নতুন করে মানিয়ে নিতে পারেন, নতুনত্ব যোগ করতে পারেন।
মুক্ত বাংলা – অভিনেতা/অভিনেত্রদের কাজ করতে করতেই অভিজ্ঞতা হয়, নাকি অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজে নামতে হয়।
হাবিব – আমি মনে করি না, কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা খুব একটা দরকার আছে। বেশীরভাগ পুরোনোদের মধ্যে অল্প সময়ে অনেক কাজ করার ফলে, একটি ফর্মেট দাঁড়িয়ে যায়। তারা সেই ট্রাক ধরেই চরিত্রায়ন করেন। নতুনরা এক্সপ্রেরিম্যানট করেন। তাই অন্য একরকম চরিত্রায়ন হয়,নতুন লাগে। তবে চলচ্চিত্রে ট্যাকনিক্যাল কাজের ক্ষেত্রে অবশ্যই অভিজ্ঞতার দরকার হয়।
মুক্ত বাংলা – আপনার বেশ কিছু কাজে স্যাটায়ার সংলাপ ব্যবহার করতে দেখা যায়। এর কি বিশেষ কোন কারণ আছে।
হাবিব – ভাল লাগে। ১৯৯০ ইং সালে আমি ” ব্যামো ” নামের আমার লিখা একটি মঞ্চ নাটকে নিয়ে ঢাকা শিল্পকলা একাডেমিতে এসেছিলাম। এই সময়ের কয়েকজন প্রতিযশা নাট্যকারা তা দেখেছিলেন। তারপর থেকেই তাদের নাটকে বিশেষ করে চিত্রনাট্যে নাটক বা চলচ্চিত্রে ব্যপক ভাবেই স্যাটায়ার সংলাপ দেখছি। তাদের লিখায় তার আগে সংলাপে এমন স্যাটায়ার ব্যবহার দেখিনি। দুঃখ সেখানেই হিউমার নির্ভরহীন স্যাটায়ার সংলাপ এইসময় যথেষ্ট ব্যবহার হয়। যার গভীরতা স্থুল। যা দর্শককে স্পর্শ করে না।
মুক্ত বাংলা – দেখা যায় আপনি একটু মজা করেই গল্প বলে যান। গল্পের শেষে দিকটায় অনেকটা ট্রেজ্যিক মূহুর্ত চলে আসে। গল্পে শুরুটা হাস্যমূখর থাকলেও শেষটা কেন ট্রেজ্যিক হয়।
হাবিব – দেখুন আমাদের সংস্কৃতিতে অতিথিদের প্রথমেই মিষ্টিমুখ করায়ে আমরা আসল বক্তব্য উপস্থাপন করি। আমার গল্প লেখার ধরণটা ওখান থেকেই নেওয়া। আমি ভাবজীবনের স্পর্শে বস্তুর গল্প লিখতে চেষ্টা করি। ফলে সব সময় লেখনী একই ট্রাক ফলো করে না। কখন হাসি কখনো আনন্দ থাকলেও, অতি হাসলে কাদতে হয়, কান্নার পর সুখানুভূতি জন্মে তা মেনেই চলে লেখালিখি।
মুক্ত বাংলা – আপনার শুরুটা হয়েছিল রাজবাড়ীর কালুখালী থেকে ।
হাবিব – হ্যা, তবে চলচ্চিত্রে নয় থিয়েটারের মাধ্যমে। তারপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ঢাকায়। বলতে পারেন অনেকটা থিয়েটার জার্নি । এই সময়গুলোতে আমি মঞ্চে পথে বেশ কিছু নাটক লিখেছি। সম্প্রতি ” বিষাল ” নামের এই পথনাটকে খাদ্যে বিষ মিশানোর বিরুদ্ধে জোড়লো বক্তব্য রয়েছে।
মুক্ত বাংলা – থিয়েটার থেকে চলচ্চিত্রে, মাঝে কি অন্য কিছুতে —
হাবিব – ভালো বলেছেন। ভিজুয়াল মিডিয়ায় নিজে কাজের মাধ্যমে অবস্থান করতে পারব কি না, তার এসিড টেষ্ট হয়েছে টেলিভিশনে। আমার টেলিফিল্ম মনপবন এবং জনপ্রিয় ধারাবাহিক আনন্দযাত্রা ‘র কথা তো শুনেছেন নিশ্চয়। গল্প দুইটি তৈরী করে মনে হয়েছে হবে। আসল কাজে যাই। চলে এসেছি চলচ্চিত্রে।
মুক্ত বাংলা – আপনাকে প্রচার বিমূখ বলে অনেকে মনে করেন।
হাবিব – তেমন নয়। তবে নিজেকে নিয়ে অতি কথন বলতে পারি না। অন্যভাবে বললে আমি ঢোল বাজানোর মত তাল শিখিনি।
মুক্ত বাংলা – আপনার প্রথম ছবি তো রুপগাওয়াল। ছবিটির গানগুলো বেশ ছিল। গল্পও আলাদা রকমের ছিল। রিংকুর একটি গান ” মন বান্দি মনা নন্দে প্রাণের সখি তরে কই “এখনো নানান জায়গায় বাজতে শোনা যায়।
হাবিব – হ্যা ২০১৩ সালে রাজনৈতিক গোলযোগের মধ্যে রুপগাওয়াল ফিল্ম রাজনীতির কারণে রিলিজ করতে হয়েছিল। তারপর ২ দিন অবরোধ ৪৮ ঘন্টার হরতাল সাঈদীর ফাসির রায়। সকল প্রভাব পড়েছিল রিলিজের উপর। রুপগওয়াল ছিল একটি এক্সপ্রেরিমেন্টাল ওর্যাক। ছিটমহল সেই ক্ষেত্রে ভিন্ন। জীবন ঘনিষ্ঠ গল্পের ছবি ছিল ছিটমহল।
মুক্ত বাংলা – বর্তমানে গল্পের ছবি প্রেক্ষাগৃহে বেশ প্রভাব ফেলছে। অনেকটা সফলতার স্বাক্ষর রাখছে। আপনার আগামী ছবি জলকিরণ কি সেই প্রভাব ফেলতে পারবে বলে মনে করেন।
হাবিব – দেখুন জলকিরণ একটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ভিত্তিক মৌলিক গল্পের ছবি। আমরা প্রযুক্তির জঞ্জাল থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে শুধু একটি গল্প বলতে চেয়েছি। অতি প্রযুক্তির উপস্থিতি গল্পের স্বাভাবিক ছন্দ রহিত করে। পরিমিত প্রযুক্তির ব্যবহার করেছি, গল্প যা দাবী করে তাই। যেন দর্শক মোহনীয় ভাবে গল্পটি দেখে যেতে পারে ।
মুক্ত বাংলা – জলকিরণ এর কাহিনি নিয়ে কিছু বলবেন।
হাবিব – একটি আবিষ্কার সমাজব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করে দেয়।
মুক্ত বাংলা – কবে আসবে প্রেক্ষাগৃহে জলকিরণ।
হাবিব – এই বছরের শেষেই দর্শক দেখতে পাবেন।
মুক্ত বাংলা – এই মূহুর্তে আপনার চলচ্চিত্র নিয়ে আগামী পরিকল্পনা কি।
হাবিব – নতুন ছবির গল্প নিয়ে কাজ করছি। খুব দ্রুত জানা যাবে আশা করি।
মুক্ত বাংলা – আপনি ফিল্ম অনলাইন এক্টিভিষ্ট হিসেবেও কাজ করেন। চলচ্চিত্রে অনলাইন এক্টিভিষ্টদের ভূমিকা নিয়ে কিছু বলবেন।
হাবিব – দেখুন চলচ্চিত্রের অ-ব্যবস্থাপনা এবং দূরবস্থা নিয়ে ২০১২ সালে বাংলাদেশ অনলাইন ফিল্ম এক্টিভিষ্ট এসোশিয়েশন – বোফা প্রথমে আন্দোলন শুরু করে। যার পর চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা সজাগ হন। তারা আন্দোলনে নামেন। যদিও বোফার মূল দাবীর ফসল বর্তমানের ছবিগুলো। কারণ নকল কপি গল্পের বায়রে প্রতারণা বিহীন আমাদের গল্প, আমাদের উপস্থাপনা চেয়েছিসবসময় আমরা। তা সবে যাত্রা করেছে। অবশ্যই আমাদের চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরবে। আমরা অনলাইন এক্টিভিষ্টরা সার্থক এই ক্ষেত্রে।
মুক্ত বাংলা – একটু অন্য বিষয়ে আসি। করোনার আগে একুশের বই মেলায় আপনার লিখা “বেফাঁস রাতের ভোর ” নামের উপন্যাস বেড়িয়েছিল তার ফিডব্যাক কেমন পেয়েছিলেন।
হাবিব – যারা পড়েছেন তারা অনেক প্রশ্ন নিয়ে নানান বিষয় জানতে চান। সবচেয়ে বড় বিষয় আমার পরিবারে প্রভাব ফেলেছে খুব বেশী। এইটা আমার আআত্মজীবনী বলেই মনে করছেন তারা।
মুক্ত বাংলা – কেন
হাবিব – পরিবারের কর্তা হিসেবে আমি তাদের কাছে হিরো। ফলে তারা মনে করেন তাদের কর্তা ছাড়া এমন হিরোইটিক কাজ অন্য কেউ করতে পারে না। যদিও বাস্তবতা ভিন্ন।
মুক্ত বাংলা – ধন্যবাদ,আপনাকে।
হাবিব – আপনাকেও সাথে পাঠকদের।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।