বি‌দ্রোহী ক‌বি নজরু‌লের আজ ৪৭ তম মৃত‌্যু বা‌র্ষিকী – দৈনিক মুক্ত বাংলা
ঢাকারবিবার , ২৭ আগস্ট ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি-ব্যবসা
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরও
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কোভিট-১৯
  8. ক্যারিয়ার
  9. খেলা
  10. জেলার খবর
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. মি‌ডিয়া
  14. মু‌ক্তিযুদ্ধ
  15. যোগা‌যোগ

বি‌দ্রোহী ক‌বি নজরু‌লের আজ ৪৭ তম মৃত‌্যু বা‌র্ষিকী

সম্পাদক
আগস্ট ২৭, ২০২৩ ১১:০১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ডি এস মাহফুজা হো‌সেন মিতা  ::

আমৃত্যু গেয়ে ছিলেন মানবতার জয়গান………..
লিখেছিলেন “গাহি সাম্যের গান”মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই; নহে কিছু মহীয়ান, দ্রোহ ও প্রেমে,কোমলে-কঠোরে বাংলা সাহিত্য ও সংগীতে যোগ করেছিলেন নতুন মাত্রা। তিনি কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি।
===================================
আজ রবিবার ২৭ আগষ্ট ২০২৩ বি‌দ্রোহী ক‌বি নজরুল ইসলামের ৪৭:তম প্রয়াণবার্ষিকী। এই দিনে (১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্র) ঢাকায় তৎকালীন পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) ৭৭ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আজ আমরা প্রাণের মেলা জাতীয় কবি পরিষদ পরিবার পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করছি ‘বিদ্রোহী কবি’ নামে খ্যাত প্রিয় কবিকে এবং তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।
:
কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ মে) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে। নির্মম দারিদ্র্য থেকে অসামান্য প্রতিভায় তিনি অভিষিক্ত হয়েছিলেন। আজীবন বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গি আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠের কারণে তিনি ভূষিত হন ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে। আজীবন সংগ্রাম করেছেন শোষিত মানুষের মুক্তির জন্য। যেমন লেখাতে বিদ্রোহী, তেমনি জীবনেও সোচ্চার ছিলেন সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা,কুসংস্কার,কূপমণ্ডূকতার বিরুদ্ধে। তরুণদের কাছে তিনি বিদ্রোহের অনন্ত প্রতীক। সংগীত, নাটক, ছোটগল্প, উপন্যাসসহ সাহিত্যের সব শাখায় অবদান রাখলেও মূলত কবি হিসেবেই তিনি বেশি খ্যাত। তাঁর লেখা গান বাংলা গানে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।

১৯৭২ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে ভারত সরকারের অনুমতি নিয়ে কবি নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে এসে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়। তাঁকে দেওয়া হয় জাতীয় কবির মর্যাদা। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাজী নজরুল ইসলামকে ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে। পরে তাঁকে দেওয়া হয় রাষ্ট্রীয় একুশে পদক। কবির জীবনের শেষ দিনগুলো কাটে তৎকালীন পিজি হাসপাতাল বর্তমান বঙ্গবন্ধু মে‌ডিক‌্যাল বিশ্ব‌দ্যিালয় হাসপাতা‌লে।

জাতীয় কবির প্রয়াণ দিবস আজ

তিনি ছিলেন প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি। তিনি আমাদের জাতীয় কবি। তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বিশ শতকের বিশ ও ত্রিশের দশকে উপমহাদেশে অবিভক্ত বাংলার সাংস্কৃতিক জগতে সবচেয়ে বর্ণাঢ্য ব্যক্তিত্ব।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের শোকাবহ ঘটনার এক বছর পর ১৯৭৬ সালের ২৭ আগস্ট (১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্র) তিনি পিজি হাসপাতালে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল) মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলা সাহিত্যে তার একটি বড় পরিচয় তিনি ‘বিদ্রোহী কবি’। তিনি অনেক গুণের অধিকারী ছিলেন। একাধারে তিনি কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা।  আর প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন আলোকোজ্জ্বল। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সংগীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস বর্ত। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক। তাঁর লেখনি জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তাঁর কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে। আবার নজরুল ছিলেন চির প্রেমের কবি। তিনি যৌবনের দূত।

কবির জন্ম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়ায়। তাঁর ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। বাবা কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবিকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করেন এবং ধানমন্ডিতে কবির জন্য একটি বাড়ি প্রদান করেন। জাতীয় কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছেন।

ভক্ত-অনুরাগীরা প্রয়াণ দিবসে কবিকে আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন কবির সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে।

আজ জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা এবি‌সি টি‌ভিও দৈনিক মুক্ত বাংলা ও সাপ্তা‌হিক চলমান দেশ প‌ত্রিকার পকাশনা প‌রিবার এবি‌সিএল প্লা‌সের পক্ষ থে‌কে  জাতীয় কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।
♦♦♦♦

শ্রদ্ধাঞ্জলি

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।