অনলাইনে ফাঁদে যুক্তরাষ্ট্রসহ তিন দেশের কিশোরীদের নগ্ন ছবি সংগ্রহকা‌রি সা‌মির গ্রেফতার – দৈনিক মুক্ত বাংলা
ঢাকারবিবার , ২৭ আগস্ট ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি-ব্যবসা
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরও
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কোভিট-১৯
  8. ক্যারিয়ার
  9. খেলা
  10. জেলার খবর
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. মি‌ডিয়া
  14. মু‌ক্তিযুদ্ধ
  15. যোগা‌যোগ

অনলাইনে ফাঁদে যুক্তরাষ্ট্রসহ তিন দেশের কিশোরীদের নগ্ন ছবি সংগ্রহকা‌রি সা‌মির গ্রেফতার

সম্পাদক
আগস্ট ২৭, ২০২৩ ১১:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতি‌বেদক ::

খুলনা শহরের সোনাডাঙ্গা থানার নিউমার্কেট এলাকার ছেলে সামির রাজশাহীর একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা ২১ আগস্ট তাঁর বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন। পরে আদালতের অনুমতিতে তাঁকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আদালতের নির্দেশে গতকাল শনিবার সামিরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সিটিটিসি কর্মকর্তারা জানান, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মাইকেল লি গত ২৬ জুলাই গুলশান থানায় একটি জিডি করেন। তাতে অভিযোগ করা হয়, সামির পরিচয়ে বাংলাদেশের এক নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে প্রলুব্ধ করে তাকে দিয়ে তার পর্নো ছবি তুলে নিয়ে নিয়েছেন। ডিসকর্ড অ্যাপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ওই কিশোরীর সঙ্গে সামিরের যোগাযোগ ও সম্পর্ক হয়। পরে তিনি ওই অ্যাপ এবং তাঁর ই–মেইলে কিশোরীর তোলা পর্নো ছবি নিয়ে নেন। কিশোরীর মায়ের যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটিতে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গুলশান থানায় ওই জিডি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তা মাইকেল লি। ডিএমপি কমিশনার সিটিটিসিকে জিডি তদন্তের দায়িত্ব দেন।

জিডির তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করতে গিয়ে তাঁরা সামির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পান। এরপর ২১ আগস্ট মার্কিন দূতাবাসের লি বাদী হয়ে মো. সামিরকে আসামি করে গুলশান থানায় ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। এরপর সামিরের অবস্থান শনাক্ত করে খুলনার সোনাডাঙ্গার বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে ই–মেইল করা হয়। জবাবে দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার বলেছেন, ফৌজদারি অপরাধের তদন্ত চলতে থাকায় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না।

মার্কিন দূতাবাস কর্মকর্তা মাইকেল লির করা মামলায় বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী গত মার্চ মাসে ডিসকর্ড অ্যাপে ক্যালিফোর্নিয়ার ওই কিশোরীর সঙ্গে সামিরের বন্ধুত্ব হয়। বন্ধুত্বের একপর্যায়ে সামির কিশোরীর পর্নো ছবি তার কাছ থেকে চেয়ে নেন। এ ছাড়া কিশোরীকে ওয়েব ক্যামেরার সামনে এনে তার বিবস্ত্র ছবি তুলে নেন সামির। পরে কিশোরী সামিরের অসৎ উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তবে সামির বিভিন্নভাবে ওই কিশোরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন।

সামিরের মোবা্ইল ফোন ও ল্যাপটপের পরীক্ষা করেছেন সিটিটিসির ফরেনসিক ল্যাবের এডিসি ইশতিয়াক আহমেদ। তিনি বলেন, সামিরের মুঠোফোনে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার অন্তত ৩০ কিশোরীর ১৬৪টি পর্নো ছবি পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে সামির বলেছে, এসব ছবি সংগ্রহে রাখা তাঁর শখ ছিল। এগুলো তিনি বেচাকেনা করতেন না।

সামির ২০২১ সালে রাজশাহীর একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও করোনার কারণে আর ক্লাস করেননি বলে জানান সিটিটিসি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, সামির সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মা-বাবা তাঁকে বাইরে কোথাও যেতে দিতেন না। একাকিত্বের কারণে তাঁর মুঠোফোনে আসক্তি তৈরি হয়। সেই থেকে বিকৃত মানসিকতা গড়ে ওঠে এই তরুণের।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।