১৯২০ সালে বুড়িগঙ্গার পাড় ঘেঁষে নর্থব্রুক হল আর মঠ।
বিভাগীয় কমিশনার বাকল্যান্ডের উদ্যোগে বুড়িগঙ্গায় সর্বপ্রথম স্টিমার চলাচল শুরু হয়। ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত স্টিমার সার্ভিসের সূচনা হয় বলে ঢাকার ইতিহাস গ্রন্থের প্রণেতা যতীন্দ্রমোহন রায়ের বিবরণ থেকে জানা যায়। তখন কলকাতা থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত রেলপথ স্থাপিত হয়েছিল। এই স্টিমারে রেলযাত্রীরা ঢাকার বুড়িগঙ্গায় এসে পৌঁছাত। এর ফলে যোগাযোগব্যবস্থার একটি বিপ্লব সূচিত হয়। একইসঙ্গে ঢাকার লালকুঠি, ফরাশগঞ্জ, বাবুবাজার ও সোয়ারীঘাট থেকে গয়নানৌকার যাতায়াতও অব্যাহত থাকে।
বাবুবাজার থেকে ফরাশগঞ্জ পর্যন্ত নির্মিত বাকল্যান্ড বাঁধের বর্তমানে কোনো অস্তিত্বই চোখে পড়ে না, ঢাকা নদীবন্দরের অংশ ছাড়া বাঁধের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। বাঁধের উপর হাজার হাজার স্থাপনা, দোকানপাট, টংঘর নির্মাণ করার ফলে ঐতিহাসিক নিদর্শনটি বুড়িগঙ্গার তীর থেকে হারিয়ে গেছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে নদীটি!
( সংগৃহীত)।