অর্থপাচারে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন : টিআইবি – দৈনিক মুক্ত বাংলা
ঢাকামঙ্গলবার , ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি-ব্যবসা
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরও
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কোভিট-১৯
  8. ক্যারিয়ার
  9. খেলা
  10. জেলার খবর
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. মি‌ডিয়া
  14. মু‌ক্তিযুদ্ধ
  15. যোগা‌যোগ

অর্থপাচারে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন : টিআইবি

সম্পাদক
সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩ ৭:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক :: 

রফতানি-আমদানি বাণিজ্যের আড়ালে ৮২১ কোটি টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি এ তথ্য উন্মোচনের জন্য কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরকে (সিআইআইডি) সতর্ক সাধুবাদ জানিয়ে এ ঘটনার আরো গভীর ও বিস্তৃত তদন্তের দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে সিআইআইডিকে সতর্ক সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি বিষয়টিকে শুধুমাত্র ‘হিমশৈলের চূড়া’ উল্লেখ করেছে টিআইবি। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সংস্থাটির পক্ষ থেকে এসব কথা বলেন।

মুদ্রাপাচারের ঘটনার অনুসন্ধানে সিআইআইডির সাফল্য সাধুবাদ জানানোর যোগ্য, উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘এ ঘটনা প্রমাণ করে যে, বাণিজ্যভিত্তিক অর্থপাচারের ঘটনা খুঁজে বের করে তা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের রয়েছে। তবে ৮২১ কোটি টাকা পাচারের ঘটনা আসলে হিমশৈলের চূড়ামাত্র।

গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইনটেগ্রিটির (জিএফআই)২০১৮ সালের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে ৭৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার পাচার হয়, টাকার অংকে তা প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা। হালনাগাদ করা সম্ভব হলে দেশ থেকে শুধু আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মিস-ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ হবে বছরে কমপক্ষে এক হাজার কোটি ডলার। অথচ, সরকারকে বৈদেশিক মুদ্রা সংকট মোকাবেলা করতে আইএমএফ থেকে সাড়ে তিন বছরের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ করতে হয়েছে, যা সুদসহ পরিশোধ করতে হবে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, অস্বীকার করার উপায় নেই, অর্থপাচার নিয়ন্ত্রণ করা গেলে বাংলাদেশকে আইএমএফ-এর দ্বারস্থ হতে হতো না এবং দেশে রিজার্ভ সংকটও থাকতো না। আমরা অর্থপাচার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানসমূহকে জনস্বার্থের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগী হওয়ার কথা আরো একবার স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।’

অর্থপাচার প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা খর্ব করার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত অনেকগুলো অপরাধের অনুসন্ধান ও তদন্ত দুদকের এখতিয়ার থেকে সরিয়ে নেয়ার ফলে অর্থপাচারের ক্ষেত্রে দুদক তার প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে পারছে না। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ সংশোধন করে দুদকের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।