মুহম্মদ রবীউল আলম ::
বিশিষ্ট সংগঠক, কবি, শিল্পী, রাজনীতিক ও গবেষক ওয়াকিল মুজাহিদ কুষ্টিয়ার কুমারখালি তথা দেশের কৃতী সন্তান। তিনি কুষ্টিয়ার জেলা সিপিবির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি বাম সংগঠনের দিকপাল । তিনি একাধারে সাহিত্যিক গবেষক এবং রানীতিবিদ। ঝিনাইদহের বেসরকারি পিটিআইয়ে অধ্যাপনাও করেছেন। জীবন জীবিকার কারণে নানান পেশায় জীবিকা নির্বাহ করার চেষ্টা করেছেন।বর্তমানে তিনি এখন অবসরজীবনযাপন করছেন।
বিগত শতকের সত্তর, আশি ও নব্বইয়ের দশকে কুষ্টিয়া সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চার তীর্যথ কেন্দ্র ছিল। এ চর্চা গতিশীল পেয়েছিল যাদের হাত ধরে তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম। মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার, গণতন্ত্রহীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনালুপ্তির ষড়যন্ত্রের কারণে এ তিন দশকের সাহিত্যিকরা ছিলেন সংক্ষুব্ধ। ওয়াকিল মুজাহিদ এসময়ের একজন উল্লেখযোগ্য কবি , লেখক ও গবেষক। সেসময়ে তিনি নিজ হাতে বই ও পত্রিকার কাভারের জন্য কাঠের ব্লক তৈরির কাজ করতেন। মুলত সাহিত্য মনা মনকে তিনি দমিয়ে রাখতে পারেননি। এই ব্লক তৈরির ক্ষেত্রেও তিনি তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ঠ সৃষ্টি করেন এবং বেশ সুনাম অর্জন করেন। বহত্তর কুষ্টিয়া অঞ্চলে সত্তর, আশি ও নব্বইয়ের দশকে লিটিল ম্যাগাজিন আন্দোলনে ওয়াকিল মুজাহিদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। তিনি উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কুষ্টিয়া ও খেলাঘর আসর কুষ্টিয়ার অন্যতম সংগঠক। তিনি দীর্ঘকাল কুষ্টিয়ায় জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি কুমারখালির রাগীব-হাসান টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির -বিদ্যোৎসাহী সদস্য।
তিনি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগ থেকে অনার্স ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে এমএ ডিগ্রী অর্জন করেন।বাংলা বিভাগের তেইশতম ব্যাচের ছাত্র। তিনি বর্তমানে কুমারখালির শিলাইদহে বসবাস করছেন। তার স্থায়ী ঠিকানা কুষ্টিয়ার মহুলবাড়িয়া।
# লেখাটি কুষ্টিয়া জেলার সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকে সংগৃহীত ।