নিজস্ব প্রতিবেদক ::
রাজধানীর বনশ্রীতে সাড়ে সাত বছর আগে দুই সন্তান হত্যা মামলায় মা মাহফুজা মালেক জেসমিনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য হয়নি।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ লুৎফুল মজীদ নয়নের আদালতে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ছিলো। কিন্তু এদিন কোনো সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হননি। এজন্য আদালত আগামী ১২ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, মামলাটিতে সাড়ে তিন বছর আগে ২০২০ সালের ৩ মার্চ সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার পুলিশ পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান। এর পর থেকে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের ডা. প্রদীপ বিশ্বাস এবং আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক লোকমান হেকিমকে সাক্ষ্য দিতে সমন পাঠানো হয়। তারপরও তারা সাক্ষ্য দিতে আসছেন না। আদালত তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রামপুরা থানাধীন বনশ্রীর বি ব্লকের ৪ নম্বর সড়কের ৯ নম্বর সাততলা বাড়ির চতুর্থ তলা থেকে ইশরাত জাহান অরণী (১২) ও তার ভাই আলভী আমানকে (৭) অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত পৌনে ৮টার দিকে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর দুই শিশুর বাবা-মাসহ পরিবারের অনেকেই খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন।
৩ মার্চ দুই সন্তানকে হত্যার অভিযোগ এনে মাহফুজা মালেকের বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় মামলা করেন তার স্বামী আমান উল্লাহ। তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন মাহফুজা মালেক।
১৪ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খিলগাঁও জোনাল টিমের পরিদর্শক লোকমান হেকিম হত্যার অভিযোগে একমাত্র আসামি করে মা জেসমিনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।