ভূমিকম্প উত্তর মর‌ক্কোয় এক স্কু‌লের সব শিশু মারা গেছে – দৈনিক মুক্ত বাংলা
ঢাকাশনিবার , ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি-ব্যবসা
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরও
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কোভিট-১৯
  8. ক্যারিয়ার
  9. খেলা
  10. জেলার খবর
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. মি‌ডিয়া
  14. মু‌ক্তিযুদ্ধ
  15. যোগা‌যোগ
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভূমিকম্প উত্তর মর‌ক্কোয় এক স্কু‌লের সব শিশু মারা গেছে

সম্পাদক
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩ ১২:৪১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বনানী হাসান :: 

আরবী ও ফারসি ভাষার শিক্ষক নেসরিন আবু এলফাদেল। তার ক্লাসে ছিল ৩২ জন শিশু। মরক্কোর প্রলয়ংকরী ভূমিকম্পের পর শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারলেন, তাদের কেউ বেঁচে নেই। ওই শিশুদের বাড়ি দেশটির মধ্যাঞ্চলের আদাসেল গ্রামে। খবর বিবিসি।

গত সপ্তাহে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের এলফাদেল শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিতে গ্রামে যান। গিয়ে দেখতে পান পুরো গ্রামই লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।

মারাকেশের দক্ষিণের এলাকাগুলো ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে। যেখানে অনেক পাহাড়ি গ্রাম সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। আদাসেল সেই জায়গাগুলোর একটি।

শিক্ষার্থীদের ‘ফেরেশতা’ হিসেবে বর্ণনা করেন এ শিক্ষিকা। যাদের ছিল জানার প্রবল আগ্রহ। তিনি জানান, দারিদ্র্য ও ব্যয়বহুল জীবনযাত্রার সঙ্গে লড়াই করা সত্ত্বেও ওই শিশু ও তাদের পরিবার স্কুলে যাওয়াকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিল।

নেসরিন আবু এলফাদেল বলেন,”৮ সেপ্টেম্বর রাতে ভূমিকম্পের ঠিক পাঁচ ঘন্টা আগে আমাদের শেষ ক্লাস ছিল।

এদিন তিনি শিক্ষার্থীদের মরক্কোর জাতীয় সংগীত শিখিয়েছিলেন। তিনদিন পর ১১ সেপ্টেম্বর সকালে পুরো স্কুলের সামনে পরিবেশনের পরিকল্পনা ছিল তাদের।”

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ভূমিকম্পের পরদিন শিক্ষিকা গ্রামে গিয়ে একে একে সবার খোঁজ করেন। যখন জানতে পারেন কেউ বেঁচে নেই, তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

তিনি বলেন, আমি ক্লাসের হাজিরা খাতা ধরে তাদের খোঁজ করি। মোট ৩২ জন। পরে জানতে পারি সবাই মারা গেছে।

গত ৮ সেপ্টেম্বরের ওই ভূমিকম্পে প্রায় তিন হাজার মানুষ মারা গেছেন। এছাড়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক।

স্থানীয় শিশুরা নিজস্ব ভাষা তামজাইটেই কথা বলত। আরবী ও ফরাসি তাদের জন্য খুব কঠিন ছিল। কিন্তু এ শিশুরা খুবই মেধাবী ছিল। তারা দুই ভাষাতেই প্রায় সাবলীল হয়ে উঠেছিল বলে জানান আলফাদেল।

এ শিক্ষিকা তার পেশা চালিয়ে যাবেন বলে জানান। আশা করছেন, ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া স্কুল কর্তৃপক্ষ নির্মাণ করে দেবে।

তিনি বলেন, আবার স্কুল গড়ে দিলে ক্লাসে শিক্ষার্থীরা ফিরে আসবে। তখন আমি সেই ৩২ শিশুকে স্মরণ করব, তাদের গল্প বলব।

সরকারি বিবৃতি অনুসারে, মোট ৫৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিভিন্ন মাত্রায় ক্ষতির শিকার হয়েছে। যার মধ্যে অনেকগুলো সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়েছে বা গুরুতর কাঠামোগত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

মরক্কোর সরকার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অস্থায়ীভাবে ক্লাস বন্ধ করে দিয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।