পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানা যায়, শহিদুল ইসলাম সৌদি আরবপ্রবাসী। গত এপ্রিলে দেশে ফিরে ময়নাল হোসেনের মেয়ে শিল্পী আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর বেশির ভাগ সময়ই শ্বশুরবাড়ি থাকতেন শহিদুল। ১ সেপ্টেম্বর টাকাপয়সার লেনদেন নিয়ে শ্বশুরের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে শহিদুলকে বাড়ি থেকে বের করে দেন ময়নাল। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যেই বুধবার হঠাৎ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন ময়নাল।
শহিদুলকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আমজাদ হোসেন বলেন, শহিদুল তাঁর শ্বশুরের কাছে সাড়ে চার লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালংকার রাখেন। পাশাপাশি বাড়ি করার জন্য তাঁকে কিছু জমি লিখে দিতে বলেন। কিন্তু ময়নাল তাঁকে জমি দিতে রাজি হননি। এ নিয়ে মন খারাপ করেন শহিদুল।
সেই জেরে ১ সেপ্টেম্বর ময়নালের কাছে রাখা টাকা ও স্বর্ণালংকার ফেরত চান শহিদুল। কিন্তু ময়নাল তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। ময়নালকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন শহিদুল। সেই সূত্রে বুধবার কৌশলে ময়নালকে বাড়ি থেকে বের করে আনেন শহিদুল। একটি ঘরে শ্বাসরোধে হত্যা করে তাঁর লাশ ফেলে দেন কাশিমপুর এলাকায়।
আমজাদ হোসেন আরও বলেন, শহিদুলকে সাভারের আশুলিয়া থেকে আটক করা হয়। এ সময় অকপটেই তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। এরপর তাঁর দেওয়া তথ্যমতেই আজ ভোরে কাশিমপুর থেকে ময়নালের লাশ উদ্ধার করা হয়।