আসির মনসুর ::
বিশিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নিভৃতচারী অনুসারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আলীর আজ ২৮তম মৃত্যু বাষির্কী। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেনানী যিনি যুদ্ধকালিন মুজিবনগর সরকারের অন্যতম কান্ডারী ছিলেন। তিনি ভারতে ট্রেনিংরত মুক্তিযোদ্ধাদের টেককেয়ার করতেন। সে সময় ভারতে মুজিবনগর সরকারের রেন্ট কালেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সে সময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টির জন্য চলচিত্র প্রদশণী ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের অন্যতম কান্ডারী ছিলেন।
১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২য় দফা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবার বছরে নিঃশ্বাসত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ৪ ছেলে ও ৪ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। এবিসি টিভির কর্ণধর , দৈনিক মুক্ত বাংলা ও সাপ্তাহিক চলমান দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আরিফ হোসনের তিনি বাবা। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আলীর ৩য় সন্তান। আরিফ হোসেন বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করেন।
তার বড় ছেলে এডভোকেট শাহ আলম যিনি আইনজীবি হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলায় বসবাস করেন। তিনি বর্তমান সরকারের আইন বিভাগের অন্যতম কান্ডারী। তার মেঝ ছেলে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর শাহ আজম শান্তুনু। যিনি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করলেও রাজশাহী জেলার পদ্মা হাউজিং এলাকায় বসবাস করেন।
ছোটছেলে এস এম রুমি হোসেন স্কুল শিক্ষক হিসেবে কুষ্টিয়াতে বসবাস করেন।
বড়মেয়ে মাহফুজা খানম ছিলেন বিশিষ্ট এনজিও কর্মী। যিনি সরকারের নারী শিক্ষার উন্নয়ন ও বিনামুল্যে নারী শিক্ষা প্রকল্পের অন্যতম প্রবক্তা। ২০১০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছোট ভাই এর বাসায় মারা যান।
মেঝ মেয়ে মাকসুদা খানম একজন গৃহবধু । যিনি চুয়াডাঙ্গা জেলায় বসবাস করেন।
সেঝ মেয়ে মাহমুদা খানম গৃহবধু হিসেবে পাবনা শহরে বসবাস করতেন। ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর তিনি ঘুমের মধ্যে মারা যান।
ছোট মেয়ে মাহবুবা খানম গ্রীস প্রবাসী। সেখানে তিনি গৃহবধু হিসেবেই বসবাস করেন।
তার মৃত্যু দিন উপলক্ষে্য সন্তানরা স্ব স্ব এলাকায় দোয়া খায়েরের আয়োজন করেন। রাবির হাম।হুমা কামা রাবাইনী সাগিরা।
আল্লাহ বাবা-মাদেরকে বেহেস্ত নসিব করুন।