ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা হ‌লো ‘বাংলার টেসলা’: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী – দৈনিক মুক্ত বাংলা
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি-ব্যবসা
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরও
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কোভিট-১৯
  8. ক্যারিয়ার
  9. খেলা
  10. জেলার খবর
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. মি‌ডিয়া
  14. মু‌ক্তিযুদ্ধ
  15. যোগা‌যোগ
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা হ‌লো ‘বাংলার টেসলা’: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

বার্তা কক্ষ
ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪ ১০:৪৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক ::

গণপরিবহনকে বিদ্যুচ্চালিত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। জাতীয় সংসদে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রশ্ন তোলেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। এর জবাবে বিদ্যুচ্চালিত যানবাহনকে সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব উল্লেখ করে রাষ্ট্রীয়ভাবে এটিকে উৎসাহিত করার কথা বলেছেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে ‘বাংলার টেসলা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সম্পূরক প্রশ্নে এ কথা বলেন নসরুল হামিদ। সংসদ সদস্য তার প্রশ্নে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের দাবি জানালেও মন্ত্রী এগুলোকে আরো উৎসাহিত করার কথা বলেন।

শামীম ওসমান তার সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলছে। রিকশার মধ্যেও ব্যাটারি লাগানো হচ্ছে। এগুলো খুবই বিপজ্জনক ও নিষিদ্ধ। এই অটোরিকশাগুলো রিচার্জ করে তার ৯০ শতাংশ বিদ্যুৎ চুরি করে। তারা আমাদের ৭/৮শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করছে। এগুলো একযোগে সারা দেশে বন্ধের কোনো বিশেষ উদ্যোগ নেবেন কিনা? তা জানতে চাই।

জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, কত দ্রুত পরিবহন ব্যবস্থাকে ইলেকট্রিকে নিয়ে যাওয়া যায়, এর জন্য সারা বিশ্বে এখন একটা রেভুলেশন চলছে। তেলচালিত গাড়ির ইঞ্জিনের দক্ষতার মাত্রা হলো ২০ শতাংশ। অপরদিকে ইলেকট্রিক যন্ত্রের দক্ষতার মাত্রা হলো ৮০ শতাংশ। মূলত আমরা উৎসাহিত করি- বাজারে যত দ্রুত ইলেকট্রিক গাড়ি আসুক।

তিনি জানান, তেলচালিত বাহনে কোনো দূরত্বে যেতে যদি ১০০ টাকা লাগে, বিদ্যুচ্চালিত যানে সেই দূরত্বে যেতে লাগবে ২০ টাকা। বাংলাদেশে ৪০ লাখের ওপর যানবাহন আছে। যারা লেড ব্যাটারি ব্যবহার করে, এগুলো চার্জ করতে ৭/৮ ঘণ্টা সময় লাগে। এগুলো যদি লিথিয়াম ব্যাটারি হয়, তাহলে লাগবে মাত্র আধা ঘণ্টা।

একই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে আমরা ইলেকট্রিক গাড়ির ‘চার্জ স্টেশন’ বসানোর নীতিমালা করেছি। এ নীতিমালা করে যে কেউ চাইলে চার্জ স্টেশন করতে পারবেন। তিনি বলেন, এ ৪০ লাখ থ্রি হুইলারকে আমি বলি বাংলার টেসলা। নিজ হাতে তৈরি করছেন। আমাদের উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে কাজ করছেন। আমরা তাদের কোনো বাধা দিচ্ছি না। যান্ত্রিকভাবে এতে ত্রুটি থাকতে পারে। কিন্তু বিদ্যুৎ যেটা ব্যবহার করছে, তার রিটার্ন অনেক বেশি। এ ৪০ লাখ রিকশাচালক, যারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন, তারা অবশ্যই আয় করছেন। এক্ষেত্রে তারা যেন লেড ব্যাটারি থেকে লিথিয়াম ব্যাটারিতে চলে আসে, এটি নিয়ে আমরা একটা প্রকল্প করছি। আমরা লেড ব্যাটারি নিয়ে তাদের লিথিয়াম ব্যাটারি দেব।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যত গণপরিবহন (বাস) আছে, সেগুলো দ্রুত বিদ্যুতে নিয়ে আসা উচিত। খরচ কম। পরিবেশ বান্ধব। বাংলাদেশের পরিবহন খাত ১৮ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ করে। তবে অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিষয়টি উদ্বেগের। আমরা এটি নিয়ে চিন্তিত। কোথাও অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় কিনা, সে বিষয়ে কোম্পানিগুলো নজর রাখছে। বেশিরভাগই এখন অবৈধভাবে বিদ্যুৎ না নিয়ে মিটারের মাধ্যমে নিচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে গ্রিডভিত্তিক উৎপাদনক্ষমতা ২৬ হাজার ৫০৪ মেগাওয়াট। ক্যাপটিভ ও অফগ্রিড নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ উৎপাদনক্ষমতা ২৯ হাজার ৭২৭ মেগাওয়াট। ক্যাপটিভ ও অফগ্রিড নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বর্তমানে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৯ হাজার ৭২৭ মেগাওয়াট। আর গ্রিডভিত্তিক উৎপাদন ক্ষমতা ২৬ হাজার ৫০৪ মেগাওয়াট। এর মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক উৎপাদন ক্ষমতা ১১ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট (৪৩ শতাংশ), ফার্নেস অয়েলভিত্তিক ছয় হাজার ৪৯২ মেগাওয়াট (২৪ শতাংশ), ডিজেলভিত্তিক ৮২৬ মেগাওয়াট (৩ শতাংশ), কয়লাভিত্তিক চার হাজার ৪৯১ মেগাওয়াট (১৭ শতাংশ), হাইড্রো ২৩০ মেগাওয়াট (এক শতাংশ), অনগ্রিড সৌর বিদ্যুৎ ৪৫৯ মেগাওয়াট (দুই শতাংশ), বিদ্যুৎ আমদানি দুই ২ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট (১০ শতাংশ)।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রাপ্যতা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়ে থাকে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদার বিপরীতে ১৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট। শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাওয়ায় এ বছর শীতকালে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার মেগাওয়াটে নেমে আসে। আগামী গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের সম্ভাব্য চাহিদার পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।