ক্রীড়া প্রতিবেদক ::
বল হাতে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মুস্তাফিজুর রহমান হঠাৎ ছন্দ হারালেন। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কাটার মাস্টার যেন ছিলেন বড্ড অচেনা। ম্যাচে চেন্নাইয়ের হয়ে বল হাতে ১ উইকেট পেলেও বেশ খরুচে ছিলেন বাংলাদেশের এই পেসার। তবে লঙ্কান পেসার মাথিশা পাথিরানার দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয় তুলে নিয়েছে চেন্নাই। আগে ব্যাটিং করে ৪ উইকেটে ২০৬ রানের বড় স্কোর পায় চেন্নাই। জবাবে মুম্বাই ৬ উইকেটে ১৮৬ রানেই থেমে যায়। এতে হাইস্কোরিং ম্যাচে ২০ রানের জয় পায় চেন্নাই।
আগে ব্যাট করতে নেমেই আজিঙ্কা রাহানে এবং রাচিন রবীন্দ্রের উইকেট হারায় চেন্নাই। রাহানে করেন ৫ রান। রাচিন করেন ২১ রান। এরপর অধিনায়ক ঋতুরাজ ও দুবের ৯০ রানের জুটি চেন্নাইকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে দেয়। ৪০ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন ঋতুরাজ। ৫টি করে বাউন্ডার এবং ছক্কা মারেন তিনি।
৩৮ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন শিভম দুবে। ১০ বাউন্ডারির সঙ্গে ২ ছক্কার মার মারেন তিনি। ১৭ রান করে আউট হন ড্যারিল মিচেল। মহেন্দ্র সিং ধোনি ৪ বল খেলে ৩টি ছক্কা মেরে ২০ রান করেন।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও ইশান কিষান। একের পর এক মারকাটারি শট খেলেন দুই তারকা। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারেই স্কোরবোর্ডে তারা দলকে ৬৩ রান এনে দেন। দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে মুস্তাফিজুর রহমান দেন ৮ রান। কাটার মাস্টার পঞ্চম ওভারে আবারো বোলিংয়ে এসে হন আরও ব্যয়বহুল, দিয়ে বসেন ১৮ রান।
মাথিশা পাথিরানা অষ্টম ওভারে আক্রমণে এসেই হানেন জোড়া আঘাত। প্রথম বলেই শার্দুল ঠাকুরের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন ১৫ বলে ২৩ রান করা ইশান। এরপর সূর্যকুমার যাদবকেও ফেরান পাথিরানা। যদিও সূর্যকে ফেরানে ভূমিকা রেখেছে মুস্তাফিজের দুর্দান্ত ক্যাচ। বাউন্ডারির কাছে থাকা দ্য ফিজ দুই হাতে বল ধরেন। শরীর সীমানা দড়ির বাইরে যাওয়ার আগের বল শূন্যে ভাসিয়ে দেন। পরে সীমানা দড়ির ভেতরে ঢুকে বল তালুবন্দি করেন।
এরপর মূলত রোহিতের ব্যাটে চড়েই এগিয়েছে মুম্বাইয়ের ইনিংস। দারুণ ব্যাটিংয়ে ফিফটি ছুঁয়ে এগোতে থাকেন রোহিত। মাঝে তিলক ভার্মা ২০ বলে ৩১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান। ১৭ ওভারে আবারও বোলিংয়ে ফেরেন মুস্তাফিজ। টিম ডেভিডের উইকেট নিলেও রান দিয়ে ফেলেন ১৯। মুম্বাইয়ের আশা তখনও কিছুটা বেঁচে ছিল। পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে ফিজ দেন ১৩ রান। ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়ে বোলিং শেষ করেন মুস্তাফিজ। পাথিরানা ম্যাচের শেষ ওভারে বল হাতে নেন। তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন রোহিত। আইপিএলে এটি তার দ্বিতীয় শতক। অভিজ্ঞ এ ব্যাটার ৬৩ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৫ রানে অপরাজিত থাকলেও দলকে জেতাতে পারেননি। চেন্নাইয়ের হয়ে বল হাতে দুরন্ত পাথিরানা ২৮ রান খরচায় পান ৪ উইকেট।