স্টেফা‌নিয়া ইসাকের প্রেমিকহ দু‌নিয়া ধ্বংস করে ফে‌লে‌ছিল – দৈনিক মুক্ত বাংলা
ঢাকাসোমবার , ১৫ এপ্রিল ২০২৪
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি-ব্যবসা
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরও
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কোভিট-১৯
  8. ক্যারিয়ার
  9. খেলা
  10. জেলার খবর
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. মি‌ডিয়া
  14. মু‌ক্তিযুদ্ধ
  15. যোগা‌যোগ

স্টেফা‌নিয়া ইসাকের প্রেমিকহ দু‌নিয়া ধ্বংস করে ফে‌লে‌ছিল

বার্তা কক্ষ
এপ্রিল ১৫, ২০২৪ ১২:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ট্রয় নগরী ধ্বংস হয়েছিল এক নারীর কারণে। তার
নাম হেলেন। এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু Stefanie
Isak নামটি আমরা অনেকেই জানি না। ১৬ বছরের এই
ইহুদী মেয়েটির কারণে সারা দুনিয়া ধ্বংস হবার
উপক্রম হয়েছিল।
১৯০৬ সাল, ভিয়েনা শহরে বসবাসরত মেয়েটির বয়স
তখন ১৬। ধনী ব্যবসায়ীর মেয়ে। একদিন রাস্তার ধাঁরে
বসে থাকা এক আর্টিষ্ট কে দিয়ে শখ করে মেয়েটি
তার একখানা পোট্রেট বানালো। অসম্ভব রূপবতী এই
নারীর ছবি আঁকতে গিয়ে মনের অজান্তে আর্টিষ্ট
তার প্রেমে পড়ে গেল।
আর্টিষ্ট এর বয়স তখন ১৮। ছেলেটির স্বপ্ন
চিত্রশিল্পী হওয়া। একাডেমি অব ফাইন আর্টস্
ভিয়েনা (Academy of Fine Arts Vienna) তে চেষ্টা
করছে ভর্তি হবার জন্য। কিন্তু পারছে না। ছেলেটির
অবসর কাটে রাস্তার ধাঁরে ছবি একে। আবার মাঝে
মাঝে পথচারীদের পোট্রেইট এঁকে দু চার পয়সা
রোজগার করে।
শিল্পীদের মন অনেক রোম্যান্টিক হয়। এটাই
স্বাভাবিক। তো পরদিন মেয়েটিকে সে প্রোপোজ
করে। মেয়েটি হা কিংবা না, কিছুই বলেনা।
ছেলেটি মাঝে মাঝে মেয়েটির বাড়ির সামনে
গিয়ে বসে থাকতো। একপলক দেখার জন্য। বিশাল
বাড়িটি উচু প্রাচীরে ঘেরা। বিশাল লোহার গেট।
মাঝে মাঝে ছেলেটি তার পোষা কুকুরকে গেটের
ফাঁক দিয়ে প্রবেশ করিয়ে দিত বাড়ির ভিতরে।
কুকুরটির মুখে থাকত প্রেম পত্র।
কুকুরটি ছিল ছেলেটির অনেক প্রিয় ভিয়েনা আসার
সময় তার মা এই কুকুরটিকে তার সাথে দিয়েছিল। বলা
যায়, কুকুরটি ছিল মায়ের দেয়া শেষ উপহার। কারণ,
এইপর আর কোনদিন ছেলেটির দেখা হয়নি তার মা
ক্লারা (Clara) এর সাথে। তিনি মারা যান। মেয়েটির
পরিবার বিষয়টি আমলে নিলো। ছেলেটি চাল
চুলোহীন, রাস্তার ছেলে। তার উপরে non-Jewish… এই
সম্পর্ক কিছুতেই সম্ভব নয়। আর ছেলেটির ‘ভবিষ্যৎ’
বলে কিছু নেই। তারা ছেলেটিকে বারবার বারণ করে
দিলো। কিন্তু প্রেম কি আর বারণ শোনে?
ছেলেটি সুযোগ পেলেই মেয়েটিকে দূর থেকে
দেখতো। উত্তর না এলেও প্রেম পত্র দিতো। তো
একদিন প্রেমপত্র সমেত কুকুরটিকে আবার পাঠালো
মেয়েটির বাড়িতে। কিন্তু এইদিন আর কুকুরটি ফিরে
এল না। ছেলেটি সারারাত অপেক্ষা করে, সকালে
চলে গেল। পরদিন আবার মেয়েটির বাড়ির সামনে
গেল। বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে ছেলেটি তার
সেই প্রিয় কুকুরটির মৃতদেহ খুঁজে পেল। নির্মমভাবে
তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
সেইদিন কাঁদতে কাঁদতে ছেলেটি চলে এলো। আর
কোনদিন ঐ বাড়ির সামনে যায় নি সে। চালচুলোহীন
ওই রাস্তার ছেলেটি পরে যা করেছিলো তা ইতিহাস!
বলা যায় রাস্তার সেই ছেলেটি নিজ হাতে গত
শতাব্দীর ইতিহাস লিখে গেছে এমনকি,
পরবর্তীতে তার পোষা কুকুর Blondi, এতটাই বিখ্যাত
হয়েছিল যে তার wiki page এর সাইজ অনেক বিখ্যাত
সেলিব্রেটিদের চেয়ে বড়!!
অনেক পরে মেয়েটি নাকি বলেছিল, সে ছেলেটিকে
মনে মনে ভালবাসত। সাহস করে বলতে পারে নি। যাই
হোক, ছেলেটির
নাম ছিল – ‘এডলফ হিটলার’! হ্যা; হিটলার ছোটবেলায়
পোষ্ট কার্ড আঁকিয়েই জীবিকা নির্বাহ করতেন।
#collected
@everyone

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।