দেশের চাকমা সম্প্রদায়ের প্রথম নারী ব্যারিস্টার হলেন ভ্যালি চাকমা – দৈনিক মুক্ত বাংলা
ঢাকাবুধবার , ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি-ব্যবসা
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরও
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কোভিট-১৯
  8. ক্যারিয়ার
  9. খেলা
  10. জেলার খবর
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. মি‌ডিয়া
  14. মু‌ক্তিযুদ্ধ
  15. যোগা‌যোগ

দেশের চাকমা সম্প্রদায়ের প্রথম নারী ব্যারিস্টার হলেন ভ্যালি চাকমা

সম্পাদক
ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩ ৮:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আ‌খি ভদ্র ::
দেশের চাকমা সম্প্রদায়ের প্রথম নারী ব্যারিস্টার হলেন ভ্যালি চাকমা। আর উচ্চ আদালতে চাকমা সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় নারী আইনজীবী। ভ্যালী চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রাম তো বটেই, সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মধ্যে প্রথম নারী, যিনি ব্যারিস্টার হলেন।
বাবার অনুপ্রেরণায় আইন পড়তে উদ্বুদ্ধ হন। তাই তিনি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধীনে আইনে ভর্তি হন। সেখান থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে পর্যায়ক্রমে জজকোর্ট ও হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এরপর ব্যারিস্টারি পড়তে পাড়ি জমান লন্ডনে।
২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর লন্ডনের লিংকন্সইন থেকে অফিসিয়ালি ব্যারিস্টারি ডিগ্রি লাভ করেন। দেশে ফিরে এসে উচ্চ আদালতে আইনপেশা শুরু করেছেন তিনি।
ভ্যালি বিয়ে করেছেন ঢাকার অধিবাসী সিভিল ইঞ্জিনিয়ার অরহণ দেওয়ানকে। নিজ সম্প্রদায়ের অসহায় মানুষকে আইনগত সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি মানুষের জন্য কাজ করতে চান, আইন পেশায় অবদান রাখতে চান উদীয়মান এই নারী ব্যারিস্টার।
ভ্যালি চাকমার জন্ম ১৯৯১ সালে রাঙামাটি পাবর্ত্য জেলায়। বাবা কল্যাণ মিত্র চাকমা। বাবা কাস্টমসের সহকারী কমিশনার হিসেবে বেনাপোল অফিসে কাজ করেন। তিন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বড় বোন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে এখন গৃহিণী। বোনের স্বামী ইনকাম ট্যাক্সের ডেপুটি কমিশনার। ছোট ভাই নর্থ সাউথে ফার্মেসিতে গ্রাজুয়েশন শেষ করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন।
ভ্যালির পড়ালেখা ও ব্যারিস্টার বাবার চাকরির বদলিজনিত কারণে এক বছর বয়স থেকে খুলনায় ছিলাম ভ্যালি। খুলনা সরকারী করনেশন বালিকা বিদ্যালয়ে থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি শেষে চট্টগ্রামে চলে যায় তিনি। চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০০৬ সালে এসএসসি পাস আর চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ থেকে ২০০৮ সালে এইচএসসি পাস করেন ভ্যালি। এরপর চলে আসে ঢাকায়।
ব্যারিস্টার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধীনে ভূইয়া একাডেমিতে ভর্তি হন। ২০১৩ সালে আইনে স্নাতক শেষ করে। ২০১৫ সালে এলএলএম কমপ্লিট করে ধানমন্ডির ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে।
এরপর ২০১৬ সালে ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। আর ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তারপর ব্যারিস্টারি পড়তে ইংল্যান্ড চলে যান। ২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর লন্ডনের লিংকন্সইন ইন থেকে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফেরেন ভ্যালি।
ভ্যালি চাকমা বলেন, উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলাম। কিন্তু বাবার ইচ্ছা ছিল মেয়ে আইন পড়ুক। বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে স্নাতকে গিয়ে আইনকেই পড়াশোনার বিষয় হিসেবে বেছে নেয়। গত বছরের নভেম্বরে লন্ডনের অনারেবল সোসাইটি অব লিংকনস ইন থেকে অর্জন করি বার-অ্যাট-ল।
তিনি বলেন, পড়তে গিয়ে আইন বিষয়টাকে ভালোবেসে ফেলেছি। পড়া আমার শেষ হয়নি, হবেও না। সারা জীবন পড়তে চাই। আসলে শিক্ষা তো সারা জীবন ধরেই নিতে হয়।
ভ্যালী বলেন, যখন স্কুলে ভালো ফল করেছি, কাউকে কাউকে বলতে শুনেছি, বাব্বা, চাকমা মেয়ে এই রেজাল্ট  করেছে। ধরেই নেওয়া হতো আমরা পাহাড়িরা কোটায় পড়ার সুযোগ পাই, তাই ভালো ফল করা আমাদের জন্য স্বাভাবিক নয়। তবে এটুকু বলি, কখনো কোটার সুযোগ নিইনি। যোগ্যতার বলেই সাফল্য পেয়েছি।
ভ্যালি চাকমা আরও বলেন, আমি মনে করি সুপ্রিম কোর্টের একজন অ্যাডভোকেট হওয়া অনেক গৌরবের বিষয়। আমার প্রাউডের বিষয় যে আমি আমার জাতিকে রিপ্রেজেন্ট করতে পারছি। আমি এমন এক জায়গায় আছি যেটার মাধ্যমে আমার সম্প্রদায় এবং অন্যান্য সম্প্রদায়কে আইনি সহায়তা দিতে পারবো। সেই কাজটা আমি করতে চাই।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।