নিজস্ব প্রতিবেদক::
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে পণ্য বিক্রি আগামী মার্চের দিকে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
আজ বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সংসদে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শাহদাব আকবরের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রমজানে সরবারাহের জন্য ২০ হাজার টন চিনি, ৪০ হাজার টন মসুর ডাল, ৪ কোটি লিটার সয়াবিন তেল, ১ হাজার ১০০ টন খেজুর, ১০ হাজার টন ছোলা প্রয়োজন হবে। এরই মধ্যে, আমদানি-ক্রয় কাজ শেষ হয়েছে। সেসব পণ্য গুদামে মজুদ কার্যক্রম চলমান।’
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, ‘২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ বিশ্বের ২০৩ দেশে পণ্য রফতানি করেছে।’
কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের আরেক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে পৃথিবীর নানা দেশে রফতানি করা বিভিন্ন ধরনের খাদ্য শস্যের মধ্যে সুগন্ধি চাল অন্যতম। এ ছাড়াও নানা জাতের ফলমূল, শাক-সবজি বিশেষ করে আলু, বাঁধাকপি, ফুলকপি, বেগুন, টমেটো বরবটি ইত্যাদি রফতানি করা হয়েছে। খাদ্যশস্য রফতানি করে চলতি অর্থ-বছরে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ দশমিক ১০ লাখ মার্কিন ডলার আয় হয়েছে।
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে কাঁচা সবজি রফতানি করা হয়। চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রধানত আলু, বাঁধাকপি, ফুলকপি, বেগুন, টমেটো ও বরবটি ইত্যাদি রফতানি করে ৩৩ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করা হয়েছে।’
দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশগুলো ট্রেড রিলেটেড আসপেক্টস অব ইনটেলেকচুলয়াল প্রপার্টি রাইটসের (টিআরআইপিএস) বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি অধিকারের বাণিজ্য সম্পর্কিত দিক প্রদত্ত মেধাস্বত্ব সংক্রান্ত পণ্য উৎপাদন সুবিধা ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ভোগ করবে। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্তরে উন্নীত হবে, সেজন্য চুক্তি অনুযায়ী ২০২৬ সালের পর এ সুবিধা ভোগ করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে এলডিসিতে উত্তরণ করা দেশগুলো ওই টিআরআইপিএস সুবিধার মেয়াদ ৬ থেকে ৯ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় আবেদন করেছে। যা সংস্থার সক্রিয় বিবেচনায় আছে।’
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ মজুমদার বলেন, ‘দেশের সকল মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে ২০২১ সালে শুরু হওয়া মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন অফিসে কর্মরত ৪র্থ শ্রেণীর সরকারি কর্মচারীদের রেশন কার্ডের আওতায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে খাদ্যশস্য বিতরণ কার্যক্রম বর্তমানে স্থগিত আছে। তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সরকারি কর্মচারীদের ফেয়ার প্রাইস কার্যক্রম খাদ্যশস্য বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।