ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ শিগগিরই চলবে ছয়টি ট্রেন – দৈনিক মুক্ত বাংলা
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি-ব্যবসা
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরও
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কোভিট-১৯
  8. ক্যারিয়ার
  9. খেলা
  10. জেলার খবর
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. মি‌ডিয়া
  14. মু‌ক্তিযুদ্ধ
  15. যোগা‌যোগ
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ শিগগিরই চলবে ছয়টি ট্রেন

সম্পাদক
ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩ ৩:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নি‌শিথ সাহা ::

দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রেলপথ ঢাকা-চট্টগ্রাম রুট। তবে দেশের প্রধান দুই নগরীর সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগে ট্রিপের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। লোকবল সংকট, ইঞ্জিন ও কোচের স্বল্পতায় বিদ্যমান সুবিধা দিয়ে বাড়তি ট্রেন চালানোর একাধিক উদ্যোগ নেয়া হলেও সেগুলো অজানা কারণে বাস্তবায়ন হয়নি। অবশেষে পরিকল্পনার পাঁচ বছর পর দুটি রেক দিয়ে চারটির পরিবর্তে ছয়টি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নতুন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে বিদ্যমান কোচ ও ইঞ্জিন দিয়েই ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আরো এক জোড়া ট্রেন সার্ভিস বাড়বে। এক্ষেত্রে ঢাকা ও চট্টগ্রাম উভয় পথে রাতে এক জোড়া বিরতিহীন ট্রেন চালানো হবে। এ নিয়ে রেল ভবনের চাহিদাপত্রের ভিত্তিতে একটি সময়সূচি তৈরি করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ। পূর্বাঞ্চল মহাব্যবস্থাপকের অনুমোদনসাপেক্ষে প্রস্তাব ও সময়সূচিটি শিগগিরই রেল ভবনে পাঠানো হবে।

এ-সংক্রান্ত তথ্যে দেখা গেছে, বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস নামের দুই জোড়া বিরতিহীন (শুধু ঢাকা বিমানবন্দরে একটি স্টপেজ) ট্রেন প্রতিদিন (সপ্তাহে একদিন বন্ধ) চলাচল করে। বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আহরণ হয় এ দুটি ট্রেনের মাধ্যমে।

রেলওয়ের ওয়ার্কিং টাইম টেবিলের সময়সূচি অনুযায়ী দিনের একটি বড় সময় ট্রেন দুটির বিশেষায়িত রেকগুলো ঢাকা ও চট্টগ্রামে অলস বসে থাকে। এ কারণে ২০১৮ সালে এই দুটি রেককে দিন ও রাতে অলস বসিয়ে না রেখে মধ্যবর্তী সময়ে ট্রেন দুটি দিয়ে একজোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো যেতে পারে বলে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছিল রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন ও বাণিজ্যিক বিভাগ। সে সময় অজানা কারণে উদ্যোগটি থেমে যায়।

সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে এ বিষয়ে একটি বিশেষ প্রস্তাবনা ও সময়সূচি প্রণয়ন করতে বাংলাদেশ রেলওয়ের অপারেশন বিভাগ থেকে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবহন বিভাগ সুবর্ণ ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের রেক দিয়ে প্রতিদিন উভয় প্রান্ত (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) থেকে রাত সাড়ে ১১টায় একটি বিরতিহীন ট্রেন সার্ভিস চালুর বিষয়ে শিডিউল তৈরি করে। পাশাপাশি প্রতিদিন রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসা তূর্ণা এক্সপ্রেসকে ১১টা ৫৫ মিনিট ও রাত ১১টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া তূর্ণা এক্সপ্রেসকে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে চালাতে প্রস্তাব করা হয়।

প্রস্তাবনায় আরো উল্লেখ রয়েছে, সুবর্ণ ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের রেক দিয়ে নতুন ট্রেন চালাতে হলে উভয় স্টেশনের সকাল ৭টায় ছেড়ে যাওয়া সোনার বাংলা ও সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি ঠিক রাখা হবে। কিন্তু প্রতিদিন ঢাকা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টায় ছেড়ে যাওয়া সুবর্ণ এক্সপ্রেসের ন্যায় চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন ছেড়ে যাওয়া সোনার বাংলা ট্রেনের সময়সূচি বিকাল ৫টার পরিবর্তে সাড়ে ৪টায় করার সুপারিশ করা হয়েছে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মুক্ত বাংলা‌কে বলেন, ‘‌ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সুবর্ণ ও সোনার বাংলা ট্রেনের সুবিধাসংবলিত এক জোড়া বিরতিহীন নতুন ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামের যাত্রী চাহিদার বিবেচনায় এবং বিদ্যমান সুবিধা দিয়ে রেলের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য নতুন এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ রেল ভবনে প্রস্তাব ও সময়সূচি পাঠালে যাচাই-বাছাই করে রেলপথমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ট্রেনের বিষয়ে ঘোষণা দেবেন।’

রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌দুটি বিরতিহীন ট্রেনের রেক দিয়ে ছয়টি ট্রেন চালানোর উদ্যোগ অনেক আগেই নেয়া হয়েছিল। কিন্তু অজানা কারণে ওই উদ্যোগ থেমে যায়।’

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।