ক্রীড় প্রতিবেদক :::
সিলেট স্ট্রাইকার্স: ১৭৫/৭ (২০)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৭৬/৩ (১৯.২ ওভার)
২৪ বলে প্রয়োজন ছিল ৫২। খেলা তখনো দুলছিল দুই দিকে। রুবেলের ১ ওভারেই সব এলোমেলো হয়ে যায়। ১৭তম ওভারে চার্লস নেন ২২ রান। কুমিল্লার জন্য সহজ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত চার বল হাতে রেখে সিলেটকে ৭ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় কুমিল্লা। এর আগেরবার বরিশালকে হারিয়ে ট্রফি ঘরে তুলেছিল বিপিএলের অন্যতম সফল এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। লিটনের ফিফটির পর চার্লসের ব্যাটে চড়ে চ্যাম্পিয়ন হয় কুমিল্লা। শুরুতেই রুবেলের হাতে জীবন পেয়েছিলেন চার্লস। এরপর ক্রিজে থিতু হয়ে ঝড় তোলেন শেষ দিকে। তাতেই বিধ্বস্ত সিলেট। চার্লস ৫টি ছক্কা ও ৭টি চারে ৫২ বলে ৭৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন। সঙ্গে ১৭ বলে ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মঈন। এর আগে লিটন ৩৯ বলে ৫৫ রান করে ভিত গড়ে দেন। সিলেটের হয়ে ৩৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন রুবেল। তার মধ্যে নিজের শেষ ওভারেই দেন ২২ রান!
জীবন দেওয়া রুবেলের ওভারে ৩ ছক্কায় চার্লসের ২২
২৪ বলে কুমিল্লার প্রয়োজন ছিল ৫২। ওভার প্রতি ১৩। সেখান থেকে এক ওভারেই ম্যাচের মোড় নিজেদের দিকে নিয়ে আসলেন কুমিল্লার চার্লস। রুবেলকে এক ওভারে ৩ ছক্কা এক চার হাঁকিয়ে ব্যবধান কমিয়ে নিয়ে আসলেন। ৩ ওভারে কুমিল্লার প্রয়োজন ২৯ রান। সঙ্গে ৪১ বলে ফিফটির দেখা পান চার্লস। মঈনের সঙ্গে জুটি থেকে আসে ৩০ বলে ৫০ রান।
২৪ বলে কুমিল্লার প্রয়োজন ৫২
ওভার প্রতি ১৩ রান করে নিতে হবে কুমিল্লাকে। ৪ ওভারে প্রয়োজন ৫২ রান। ক্রিজে আছেন জনসন চার্লস (৩৯)-মঈন আলী (১৪)।
ফিফটির পর সাজঘরে লিটন
ফিফটির পর বেশিদূর এগোতে পারলেন না লিটন দাস। রুবেল হোসেনের বলে আউট হয়ে ফেরেন সাজঘরে। স্কয়ার লেগে শান্ত দারুণ ক্যাচ ধরেন। ৩৯ বলে ৫৫ রান করেন লিটন। ক্রিজে চার্লসের সঙ্গী মঈন আলী।
লিটনের ফিফটি, কুমিল্লার সেঞ্চুরি
৩৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর চার্লসকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে থাকেন লিটন দাস। জুটির ফিফটির পর লিটন নিজেও ফিফটি তুলে নেন ৩৬ বলে। জীবন পাওয়ার পর চার্লস খেলছেন দারুণ। দুজনে আর কোনো সুযোগ দেননি সিলেটকে। ১২ ওভারে কুমিল্লা দলীয় ১০০ পূর্ণ করে। লিটন ৫৪ ও চার্লস ৩২ রানে ব্যাট করছেন।
রুবেলের সহজ ক্যাচ মিস, পাওয়ার প্লেতে কুমিল্লার ৪৯
লিন্ডের বলে স্কয়ার লেগে উড়িয়ে মেরেছিলেন জনসন চার্লস। সেখানে থাকা রুবেল হোসেন বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও তালুবন্দি করতে পারেননি। এর আগের ওভারে লিন্ডে ইমরুলকে ফিরিয়েছিলেন। ক্যারিবিয়ান চার্লসের উইকেট নিতে পারলে এগিয়ে যেতো সিলেট। পাওয়ার প্লেতে কুমিল্লা ৪৯ রান তোলে ২ উইকেট হারিয়ে। লিটন ১৭ বলে ২৭ রান করেন। ১টি করে উইকেট নেন রুবেল-লিন্ডে। ক্রিজে লিটন-চার্লস।
নারিনের পর সাজঘরে ইমরুল
১ চার ১ ছয়ে চার বলে ১০ রান করে ঝড়ের আভাস দিয়েছিলেন সুনীল নারিন। এর আগেরবার ফাইনালে বরিশালকে এলোমেলো করে দিয়েছিলেন ঝড়ো ফিফটিতে। এবার আর পারেননি। রুবেলের ওভারে নিজের পঞ্চম বলেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। ক্রিজে এসে লিন্ডের করা পরের ওভারের প্রথম বলেই লং অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অধিনায়ক ইমরুল। ৩ বলে ২ রান করেন কুমিল্লার অধিনায়ক। ৩৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
মুশফিক-শান্তর ফিফটিতে চ্যালেঞ্জ ছুড়লো সিলেট
নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের ফিফটিতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে বিপিএলের ফাইনালে ১৭৬ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ৪৮ বলে সর্বোচ্চ ৭৪ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ওপেনিংয়ে নামা শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৪৫ বলে ৬৪ রান। ২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দুজনে খেলার হাল ধরেন। শেষ দিকে ১৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় সিলেট। কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১টি করে উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল, তানভীর ইসলাম ও সুনীল নারাইন।
জীবন পেয়েও ব্যর্থ বার্ল, পেরেরা গোল্ডেন ডাক
মোস্তাফিজের করা ১৬তম ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু মোস্তাফিজ নিজেই বার্লের সেই ক্যাচ ধরতে ব্যর্থ হন। এরপর ওভারের শেষ বলে আবার উড়িয়ে মারেন বার্ল। এবার আর বাঁচতে পারেননি, ধরা পড়েন মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে। ১১ বলে ১৩ রান করেন বার্ল। বার্লের পর পেরেরা ক্রিজে এসে নারিনের ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন নিজের প্রথম বলেই। সুবিধা করতে পারেননি জর্জ লিন্ডেও। ৬ বলে ৯ রান করে মোস্তাফিজের বলে ক্যাচ দেন বাউন্ডারি লাইনে। ১৮ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে সিলেট।
৬৪ রানে ফিরলেন শান্ত, ব্যাটিংয়ে মুশফিক-বার্ল
মঈন আলীকে মারতে গিয়ে বল মিস করে সাজঘরে ফিরলেন দুর্দান্ত খেলতে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত। সরাসরি বোল্ড হন তিনি। ২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর এক প্রান্তে আগলে রেখে দুর্দনাত খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৫ বলে ৬৪ রান। ৯টি চার ও ১টি ছয়ে ইনিংসটি সাজিয়েছেন। ক্রিজে মুশফিকের সঙ্গী রায়ান বার্ল।
শান্তর ফিফটি, সিলেটের সেঞ্চুরি
ইনিংসের প্রথম ওভারেই দারুণ শুরুর আভাস দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সেটি ধরে রেখে এগোচ্ছেন দারুণভাবে। মোস্তাফিজকে দারুণ চার মারার পর সিঙ্গেল নিয়ে ৩৯ বলে ফিফটির দেখা পান শান্ত। চলতি আসরে এটি তার চতুর্থ ফিফটি। সঙ্গে ছাড়িয়েছেন ৫০০ রান। ২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর মুশফিককে সঙ্গে চ্যালেঞ্জিং পুজির দিকে হাঁটছেন শান্ত। দুজনের জুটি থেকে আসে ৫২ বলে ৭৪ রান। ১১.৪ ওভারে দলটি ১০০ রান করে।
দারুণ শুরুর পরও পাওয়ার প্লেতে সিলেটের ২ উইকেটে ৪২
প্রথম ওভারে আসে ১৮ রান। পরের ৫ ওভারে আসে মাত্র ২৪ রান। এর মধ্যে সিলেট হারিয়েছে ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল ও তানভীর ইসলাম। দারুণ ব্যাটিং করে যাচ্ছেন শান্ত। তিনি ২৭ বলে ৩৫ রানে ব্যাট করছেন। সঙ্গে আছেন মুশফিক।
সুবিধা করতে পারেননি মাশরাফি, ঝড় তুলছেন শান্ত
দ্বিতীয় ওভারে ব্যাটিংয়ে আসেন অধিনায়ক মাশরাফি। কিন্তু ক্যামিও ইনিংস খেলতে পারেননি। রাসেলের বলে ১ রানে আউট হয়ে ফেরেন সাজঘরে। বল খেলেন ৪টি। আরেক প্রান্তে ঝড়ো ব্যাটিং করছেন শান্ত। এখন পর্যন্ত ১৬ বলে ২৪ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
গোল্ডেন ডাক হৃদয়
ফাইনালের মঞ্চে দুর্দান্ত শুরু করে সিলেট। প্রথম ওভারে আসে ১৮ রান। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই উইকেট হারায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তানভীর ইসলামের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন আসরে দারুণ ব্যাটিং করা তৌহিদ হৃদয়। প্রথম বলেই ফেরেন বোল্ড হয়ে। দ্বিতীয় ওভারেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে কুমিল্লা। হৃদয়ের আউটের পর ব্যাটিংয়ে আসেন অধিনায়ক মাশরাফি।
ফাইনালে ব্যাটিংয়ে সিলেট
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালে ট্রফির লড়াইয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মুখোমুখি কুমিল্লা-সিলেট। টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে কুমিল্লা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খেলাটি শুরু হয়।
সিলেট স্ট্রাইকার্স: মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত,তৌহিদ হৃদয়, জাকির হাসান, মুশফিকুর রহিম, রায়ান বার্ল, জর্জ লিন্ডে, থিসারা পেরেরা, লুক উড, রুবেল হোসেন এবং তানজিম হাসান সাকিব।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ইমরুল কায়েস, লিটন কুমার দাস, মোসাদ্দেক হোসেন, তানভীর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, মুকিদুল ইসলাম, মঈন আলী, সুনীল নারাইন, আন্দ্রে রাসেল ও জনসন চার্লস।
কুমিল্লার চার নাকি মাশরাফির পাঁচ
ফাইনালে অপরাজিত কুমিল্লার চোখ চতুর্থ শিরোপায়। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সামনে পথের কাঁটা সিলেট স্ট্রাইকার্স, যারা কি না কখনো ফাইনালেই খেলেনি। এর আগে একবারই প্লে অফ খেলেছিল তারা, সেটাও ২০১৩ সালে। কাগজে কলমে সিলেট পিছিয়ে। কিন্তু ইতিহাস আছে তাদের পক্ষেও। কারণ দলের নেতা যে মাশরাফি মুর্তজা, যিনি কখনো ফাইনাল খেলে হারেননি। পাঁচ বছরে ঢাকার হয়ে দুইবার এবং কুমিল্লা ও রংপুরের হয়ে একবার করে শিরোপা জিতেছেন। চারবার ফাইনাল খেলে চারবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তার দল।
বোলিংয়ই মূল শক্তি
বলা হচ্ছে দুই দলের ব্যাটিং গভীরতা অনেক বেশি থাকলেও বোলিংটাই মূল শক্তি। কুমিল্লার আন্দ্রে রাসেলের সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান, তানবীর ইসলাম, মঈন আলী, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধরা ভালো বোলিং করছেন। সিলেটের সাকিব, রুবেলের সঙ্গে লিউক উড, জর্জ লিন্ডে আলো ছড়াচ্ছেন। ফাইনালে বোলিং পার্থক্য গড়ে দিতে পারে এমন ধারণা করা হচ্ছে।