আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক ::
বছরের পর বছর ধরে সম্পর্ক ভাঙা থাকলেও সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের ঘটনায় মানবিক সহায়তা ও উদ্ধার তৎপরতার জন্য আরব দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।
চলতি মাসের প্রথম সোমবার সিরিয়া ও তুরস্কে ঘটে গেছে স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্প। বিধ্বংসী এ ভূমিকম্পে মাটিতে মিশে গেছে সিরিয়ার আলেপ্পো, লাতাকিয়া, হামা ও তারতুস প্রদেশের কয়েকটি শহর।
এসব স্থানে মানবিক সহায়তা ও উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে আরব দেশগুলোর কিছু সংস্থা।বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তাই আরব দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানান বাশার আল-আসাদ।
তিনি বলেন, আমাদের দুঃখ-বেদনার মধ্যেও সেই দেশগুলোকে ধন্যবাদ না জানিয়ে থাকা যাবে না। তারা দুর্যোগের প্রথম ঘণ্টা থেকে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।আমার আরব ভাই ও বন্ধুদের পরম সহায়তা আমাদের সক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে। গুরুতর সময়ে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে তাদের সহায়তা আমাদের কার্যক্রম নিরূপণে সাহায্য করেছে, এবং তা আমাদের জন্য খুব জরুরি ছিল।
উল্লেখ্য, গৃহযুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন সিরিয়া। তবে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে সহায়তা গেছে। আরব কূটনীতিকরাও দেশটি পরিদর্শন করেছেন। মিশর, জর্ডান ও বাহরাইনসহ এ অঞ্চলের বেশ কয়েকজন নেতা তাকে ফোন করেছেন।
সংঘাত শুরু হওয়ার পর সিরিয়ায় প্রথম সফর করেছে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি। গত বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দামেস্ক পৌঁছান তিনি। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদও দেশটি সফর করেছেন।
এ ছাড়া মানবিক সহায়তা নিয়ে সিরিয়ায় প্রায় ১২০টি বিমান অবতরণ করেছে। সহায়তাগুলোর সিংহভাগ এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। সৌদি আরবও মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে সিরিয়ায় সহায়তা বহনকারী দুটি বিমান পাঠিয়েছে, যা গত এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথম।