আলোচিত এসপি মহিউদ্দীন ফারুকী বরখাস্ত – দৈনিক মুক্ত বাংলা
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২ মার্চ ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি-ব্যবসা
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরও
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কোভিট-১৯
  8. ক্যারিয়ার
  9. খেলা
  10. জেলার খবর
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. মি‌ডিয়া
  14. মু‌ক্তিযুদ্ধ
  15. যোগা‌যোগ

আলোচিত এসপি মহিউদ্দীন ফারুকী বরখাস্ত

সম্পাদক
মার্চ ২, ২০২৩ ১০:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এস এম এ হোসাইন::

স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় আলোচিত পুলিশ সুপার এবং পুলিশ সদর দপ্তরের সাবেক সহকারী মহাপরিদর্শক মহিউদ্দীন ফারুকীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ তিনি রাঙামাটির বেতবুনিয়া পুলিশ স্পেশালাইজড ট্রেনিং সেন্টারের পুলিশ সুপার পদে কর্মরত ছিলেন।

বুধবার (২ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আমিনুল ইসলাম খানের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মহিউদ্দিন ফারুকীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ড, নৈতিকস্খলন, শিষ্টাচারবহির্ভূত কার্যকলাপ, অসদাচরণের মাত্রা এবং প্রকৃতি বিবেচনায় নিয়ে সরকারি চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হল।

এতে আরও বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তের মেয়াদে তিনি পুলিশ অধিদপ্তরে (সদর দপ্তর) সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ পাবেন।

ফারুকীর বিরুদ্ধে গত বছরের মার্চে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি নালিশি মামলা করেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী আয়শা ইসলাম ওরফে মৌ। মামলায় তার বিরুদ্ধে প্রতারণামূলকভাবে গর্ভপাতের ওষুধ সেবন করিয়ে ভ্রুণ হত্যার অভিযোগ আনেন তিনি।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে মহিউদ্দিন ফারুকীর সঙ্গে ফেসবুকে আয়শার পরিচয় হয়। সম্পর্কের প্রথম থেকে আয়শাকে দেখা করতে প্রলুব্ধ করেন মহিউদ্দিন ফারুকী। এরপর তিনি বিভিন্ন অজুহাতে আয়শার বাসায় যাতায়াত করেন। প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আয়শাকে বিয়ে করতে চান তিনি। পরে আয়শার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেন। একপর্যায়ে আয়শা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। আয়শাকে ভিটামিন ওষুধ খাওয়ানোর কথা বলে মহিউদ্দিন ফারুকী গর্ভপাত করানোর ওষুধ খাইয়ে দেন। ওষুধটি গর্ভপাতের ছিল বলে মহিউদ্দিন ফারুকী পরে আয়শার কাছে স্বীকারও করেন। এ সময় আয়শা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান মহিউদ্দিন ফারুকী। সেখানে গর্ভপাত করার সময় স্বামীর নামের জায়গায় মহিউদ্দিন ফারুকী সই করেন। কিন্তু গর্ভপাতে আয়শার সম্মতি ছিল না।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, গর্ভপাতের পর মহিউদ্দিন ফারুকীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন আয়শা। তবে পরে মহিউদ্দিন ফারুকী কৌশলে তাঁর সঙ্গে আবারও সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং সহকর্মীদের কাছে আয়শাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন।

২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আয়শাকে বিয়ে করার কথা বলে চাপের মুখে তাঁর স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন মহিউদ্দিন ফারুকী। ১৬ এপ্রিল আয়শা জানতে পারেন, তিনি আবারও অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় মহিউদ্দিন ফারুকী আবারও আয়শার গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করেন।

ভ্রূণ হত্যা করতে না দেওয়ায় মহিউদ্দিন ফারুকী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং আয়শা ও গর্ভের সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলার এজাহারে। এতে আরও বলা হয়েছে, আয়শা আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে পরে মহিউদ্দিন ফারুকী বিয়ে করতে সম্মত হন। শেষমেশ ২০২১ সালের ৬ জুন মুসলিম শরিয়াহ আইন অনুযায়ী আয়শাকে বিয়ে করেন তিনি।

এরপর আয়শার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান মহিউদ্দিন ফারুকী। গর্ভের সন্তানকেও হত্যার চেষ্টা করেন ফারুকী। ওই বছরের ২৫ আগস্ট আয়শা নিজের ও গর্ভের সন্তানের জীবন রক্ষার জন্য পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে আবেদন করেন। পরে ১৬ সেপ্টেম্বর একই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছেও আবেদন করেন।

 

এর আগেই আয়শাকে তালাক দেন মহিউদ্দিন ফারুকী। ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর আয়শা কন্যাসন্তান জন্ম দেন। সন্তানের ভরণপোষণ চেয়ে পারিবারিক আদালতে পৃথক একটি মামলা করেন আয়শা। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।

 

আইজিপি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সুবিচার চেয়ে আয়শার আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দপ্তর এক উপ-মহাপরিদর্শককে (ডিআইজি) এ ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেয়। সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তর থেকে মহিউদ্দিন ফারুকীকে নিয়ে করা তদন্তের প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর ভিত্তিতে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।