মনির খান সুরেলা কন্ঠের মালিক নন, তিনি অবৈধ অর্থের মালিক – দৈনিক মুক্ত বাংলা
ঢাকাসোমবার , ৬ মার্চ ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি-ব্যবসা
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরও
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কোভিট-১৯
  8. ক্যারিয়ার
  9. খেলা
  10. জেলার খবর
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. মি‌ডিয়া
  14. মু‌ক্তিযুদ্ধ
  15. যোগা‌যোগ

মনির খান সুরেলা কন্ঠের মালিক নন, তিনি অবৈধ অর্থের মালিক

সম্পাদক
মার্চ ৬, ২০২৩ ৮:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ষ্টাফ রিপোর্টার ::
ইঞ্জিনিয়ার মনির খান এর সাথে যোগাযোগ করতে আমাদের প্রতিনিধি তাকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিয়েও তা রিসিভ না করায়, এই আয়ের সূত্রহীন অর্থের উৎসের পক্ষে বিপক্ষে কোন বক্তব্য পায়নি। তবে এইটুকু জানা গেছে যে, সংবাদ প্রকাশের পর মনির তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজনদের বলে বেড়াচ্ছেন ” দূদূক থেকে টাকা দিয়ে দ্বায়-মুক্তির সার্টিফিকেট এনেছি। কেউ আমার চুল স্পর্শ করতে পারবে না। ” ঘনিষ্ঠ অন্য আর একটি সূত্র জানিয়েছে, মনির এর বিরুদ্ধে দুইটি অভিযোগ দূদূক এর অফিসে জমা হলে তদন্তে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দূদূক থেকে দায় মুক্তির সার্টিফিকেট নিয়েছে সে । এই বিষয়ে আমাদের তদন্ত অব্যহত রয়েছে । রাজধানী উত্তরার একটি সেক্টরে তার বাড়ীতে কাঠের আসবাবপত্র তৈরি করে এমন একজন মিস্ত্রী ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রেতাকে কথা প্রসংগে জানিয়েছে এই দ্বায়মুক্তির সনদ নিতে মনিরকে খরচ করতে হয়েছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা। অবশ্য এই তথ্যের যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে বলেই মনে হয়েছে। কারণ উক্ত আসবাবপত্র মিস্ত্রীর গ্রামের বাড়ী রাজবাড়ী নিজ জেলায় বলে জানা গেছে।
নাম না বলার শর্তে মনিরের এলাকায় আমাদের প্রতিনিধি তথ্যের জন্যে উপস্থিত হলে, কয়েকজন সর্তকতার সাথে জানায় মনিরকে খুজতে মাঝে মাঝেই একজন ব্যক্তি রাজবাড়ীতে তার বাসায় এবং কালুখালি উপজেলায় তার গ্রামের বাড়ীতে আসতেন। যার প্রায় ৩৫ কোটি টাকা মনির আত্মসাৎ করেছে বলে জানা গেছে । উক্ত ব্যক্তি সামরিক বাহিনীর রিটায়ার্ড মেজর পরিচয় দিলেও, নিজের নাম বলেননি কখন। এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয়রা ।
আমাদের প্রতিনিধি উক্ত অব: প্রাপ্ত মেজর সাহেবের খোজ করতে নেমে একটি সূত্র পান। সেই সূত্রে কর্ণেল ( অব:) নজরুল ইসলাম এর সন্ধান পাওয়া যায় । যিনি মনির খানের কিছু প্রকল্পের অংশীদার এবং অবৈধ অর্থের উৎসের সব বিষয় জানেন বলে জানা গেছে। কারণ সেই অর্থ খোয়া যাওয়া রিটায়ার্ড মেজর ছিলেন কর্ণেল ( অব:) নজরুল ইসলাম এর বন্ধু । মনিরের নানান পর্যায়ে হাত থাকায় ভুক্তভোগী মামলা মকদ্দমায় পর্যন্ত যায়নি। তাছাড়া তার আয়ের অর্থও সম্পূর্ণ বৈধ নয় বলে জানা গেছে। টাকা খোয়া যাওয়ার পর মধ্যস্থতা করতে নামেন কর্ণেল (অব:) নজরুল ইসলাম। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি মনির। তাই ভুক্তভোগী বারবার তাগাদা দিলে মনির সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দেয় তার দিকে। উক্ত ভুক্তভোগী ভয়ে প্রাণ বাচাতে পাশের দেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে। আর এই বিষয় নিয়ে যেন কেউ টু শব্ধ করতে না পারে, চতুর মনির নিজেকে রক্ষায় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নানান স্থরের কর্মকর্তাদের সাথে খায়খাতির জমিয়ে তোলে। জানা গেছে মনিরের ঝামেলায় তারা এগিয়ে আসে দ্রুত। যার কারণ অনেকেই অনুমান করছে যে, অবৈধ তার বিশাল অর্থের ভাগ বাটোয়ারাও তাদের নিকট পৌছে। তাকে কয়েকজন বড় কর্তাদের নাম ব্যবহার করে অনেককেই হুমকি ধমকি দেয়। এমন অনেকের মুখে মুখেই আছে বলে জানিয়েছে অনেকেই । সে যেন ঠিক শাহেদের গুরুর শিষ্য। এই সকল হর্তাকর্তাদের ম্যানেজ করতে স্থানীয় বাজার থেকে পিকাপে গরু ছাগল থেকে শুরু করে, পদ্মানদীর বড় বড় মাছ ঢাকায় সেই কর্মকর্তাদের বাসায় পৌছে দেয় মনির । যারা এই মনিরের অবৈধ অর্থ এবং ক্ষমতার দাপটকে পোক্ত বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছে । এমনদের নাম, পদবী, দপ্তর এবং ঠিকানা আসবে পরের কোন পর্বে । মনির কি ভাবে কাদের দূর্নীতির বড় সুবিধা করে দিয়ে, নিজে দূর্নীতির বরপুত্র ” সাহেদ ” সেজেছে, এই নিয়ে আমাদের প্রতিনিধি যোগাযোগ করেন কর্ণেল:(অব:) নজরুল ইসলাম এর সাথে। কিন্তু যৌথ বিনিয়োগে লোকশান দেখিয়ে সুচতুর মনির আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করায় নাকি তার সাথেও সম্পর্ক ভাল যাচ্ছে না ইদানিং। অন্যদিকে মনির কর্তৃক বন্ধুর অর্থ আত্মসাৎ এর কারণেই কর্ণেল নজরুলের সাথে মনিরের সম্পর্কের ভাটা পরে বলে জানা গেছে । মনিরের অবৈধ অর্থের খোজ-খবর নিতে কর্ণেল (অব:) নজরুল ইসলামকে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন করা হয় …
( আসছে বিস্তারিত পরের পর্বে )

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।