আমাদের মতামত দেওয়ার পরই সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়ে ফাইলটি পাঠানো হয়েছে।আইনমন্ত্রী বলেন, তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আমি যেটা মনে করি আগে যে শর্ত ছিল সেটিই থাকবে। তার বিদেশে চিকিৎসার জন্য কোনো আবেদন আসে নাই।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, তার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি আগের শর্তে নেই। তার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন নাকচ করা হয়েছে বলে যে সংবাদ এসেছে সেটিও সত্যি নয়। এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জামিন দেওয়ার এখতিয়ার আদালতের, সরকারের না। প্রথমবার যখন আবেদন করা হয়েছিল তখন প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতার কারণেই নিষ্পত্তি করে খালেদা জিয়াকে দণ্ডাদেশ স্থগিত করে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
তার মুক্তিতে দুটি শর্ত রয়েছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, একটি হচ্ছে ঢাকায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। আরেকটি হচ্ছে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। সবশেষ যখন মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল সেখানেও সেই শর্ত ছিল। আমি মনে করি যে শর্ত ছিল সেই শর্তই থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।
আইনমন্ত্রী বলেন, যখন ফাইলটি আমার কাছে আসবে তখন আমি আপনাদের (সাংবাদিক) অবশ্যই জানাবো।
২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ১০ বছর এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাত বছরের সাজা হয়েছিল খালেদা জিয়ার। ওই সময় থেকে তাকে বকশিবাজারের পুরাতন কারাগারে রাখা হলেও পরে তাকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজ বাসায় রয়েছেন।