গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের আলী বহর এলাকায় অবস্থিত এ রাসায়নিক সংরক্ষণাগার। গুদামের মূল ফটকে বসে আছেন নিরাপত্তা প্রহরী। গুদামের ভেতরে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার নেই। গুদামের মূল ফটক থেকে শুরু করে পানির ট্যাংক—সবই প্রস্তুত, রং-বার্নিশের কাজও শেষ হয়েছে অনেক আগেই।

নিরাপত্তা প্রহরী শহিদ খান এবিসি টিভি ও মুক্ত বাংলাকে বলেন, গুদামের নির্মাণকাজ শেষ হলেও হস্তান্তর করা হয়নি। তবে বর্তমানে তিনিসহ সাতজন নিরাপত্তা প্রহরী গুদামের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন। এখন অন্য কোনো কাজ না থাকায় গুদামের চারপাশে লাগানো গাছপালার পরিচর্যা করছেন তাঁরা।
আলী বহর এলাকার বাসিন্দা সজল মিয়া এবিসি টিভি ও মুক্ত বাংলাকে বলেন, ‘গুদাম নির্মাণের কাজ তো শেষ। ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেয় না। পুরান ঢাকার রাসায়নিক মালামাল এখানে রাখবে বলে শুনেছি। কিন্তু এখনো গুদাম তো চালু হচ্ছে না।’এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডকইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইফতেখার শেখ প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরে নির্মাণকাজ শেষে বিসিআইসিকে গুদাম বুঝে নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল। পরে তারা সব কিছু দেখে বুঝে নিয়েছে। কিন্তু গুদামটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর হয়নি। হস্তান্তর ও উদ্বোধন হলেই গুদামটি পুরোদমে চালু করা যাবে।