বাবুল চৌধুরী ::
জাল নথি তৈরি করে রফতানির আড়ালে চার প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩৮২ কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। বিভিন্ন সময়ে তিন হাজার ৪৭৪টি চালানের বিপরীতে এ অর্থ পাচার করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
আজ মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার মহাপরিচালক ফখরুল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ঢাকার দক্ষিণখানের সাবিহা সাইকি ফ্যাশন নামের প্রতিষ্ঠান এক হাজার ৭৮০টি চালানে ৯৯৭ টন মেনস ট্রাউজার, টি-শার্ট, বেবি সেট, ব্যাগ, পোলো শার্ট, জ্যাকেট, প্যান্ট ও হুডি রফতানি করেছে, যার মূল্য প্রায় ২১ কোটি টাকা (১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৭ ডলার)। কিন্তু এ অর্থ দেশে আসেনি। সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব ও নাইজেরিয়ায় এসব পণ্য রফতানি হয়।
রমনা থানার এশিয়া ট্রেডিং করপোরেশন এক হাজার ৩৮২টি চালানের মাধ্যমে ১৪ হাজার ৮৫ টন টি-শার্ট, টপস, লেডিস ড্রেস রফতানি করেছে, যার মূল্য ২৮২ কোটি টাকা (দুই কোটি ৫৮ লাখ ২৬ হাজার ৮৬৬ ডলার)। সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কাতার ও যুক্তরাজ্যে এসব পণ্য রফতানি হয়।
দক্ষিণখান বাজারের ইমু ট্রেডিং করপোরেশন ২৭৩টি চালানের মাধ্যমে দুই হাজার ৫২৩ টন টি-শার্ট, ট্রাউজার ও টপস রফতানি করেছে, যার মূল্য প্রায় ৬২ কোটি টাকা (৬৫ লাখ ৪ হাজার ৯৩২ ডলার)। এসব পণ্য গেছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ায়।
এছাড়া উত্তরা তিন নম্বর সেক্টরের ইলহাম নামের প্রতিষ্ঠান ৩৯টি চালানের মাধ্যমে ৬৬০ টন টি-শার্ট, ট্যাংক টপ ও লেডিস ড্রেস রফতানি করেছে, যার মূল্য প্রায় ১৭ কোটি টাকা (১৬ লাখ ৩৯ হাজার ৪৮৫ ডলার)। কিন্তু এ অর্থও দেশে আসেনি বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফখরুল আলম।