নিমকি খান ::
অভিনেতা শাকিব খানের বিরুদ্ধে অনিয়ম, শিডিউল ফাঁসানো ও এক নারী সহ-প্রযোজককে ধর্ষণসহ বেশ কিছু অভিযোগ তুলেছেন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার সহ-প্রযোজক রহমত উল্লাহ। তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে চর্চায় রয়েছেন অভিনেতা। এরমধ্যে ২৩ মার্চ ঢাকার সিএমএম কোর্টে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হত্যার হুমকির অভিযোগে মামলা করেছেন শাকিব। পরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। রহমত উল্লাহর সকল অভিযোগ মিথ্যা। প্রথম আলো
এদিকে অস্ট্রেলিয়ায় ধর্ষণ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ভুক্তভোগী ওই নারী। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমার প্রসঙ্গ টেনে আমার হয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে, সে সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। সিনেমাটি সম্পূর্ণ করা হবে কিনা, তা নিয়েও আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত ঘটনা নিয়ে যেসব কথা হচ্ছে, তার জন্য আমি কাউকে অনুমতি দিইনি। এমনকি এই প্রসঙ্গ নিয়ে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, তা-ও আমি জানতাম না। ২০১৬ সালের অভিযোগটি এখনো তদন্তাধীন। কী করব, তা ভবিষ্যতে বিবেচনা করব। এখন আমি এসব নিয়ে ভাবছি না।’
শাকিব খানের মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট সিনেমার শুটিং করতে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় যান। এরপর জানতে পারেন ভিসা জটিলতায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’-এর শুটিং করতে অস্ট্রেলিয়া আসতে পারেননি নায়িকা শিবা আলী খান। তার জায়গায় অ্যানি রেনেসা সাবরিন নামের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক এক নারীকে নায়িকা হিসেবে তার সঙ্গে অভিনয় করার জন্য অনুরোধ করেন মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ। নিজের ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে তার সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন তিনি।
এরপর আসামি রহমত উল্লাহ তাকে ফাঁদে ফেলার জন্য এক গভীর ষড়যন্ত্রের নীলনকশা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আসামি বাদীর (শাকিব খান) সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে বাদীকে রিফ্রেশমেন্টের জন্য একটি নামীদামি ক্লাবে নেওয়ার প্রস্তাব করলে বাদী রাজি হয়ে যান। ক্লাবে খাওয়া-দাওয়াসহ বিভিন্ন প্রকার পানীয় পান করেন বাদী। পথে তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে অজ্ঞান হয়ে যান।