স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজধানীর উত্তরায় দীর্ঘ দিন যাবৎ রাজনৈতিক নেতাদের আশীর্বাদ ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে ফুটপাত চাঁদাবাজি করছে রাসেল মন্ডল
জানাগেছে,রাজধানীর উত্তরার রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্সের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের কিছু অংশ,হাউজবিল্ডিং এর মাস্কট প্লাজার পেছনের অংশ,উত্তরা হোটেল বেইজিংয়ের মেইন সড়ক,আজমপুর রাজউক কমার্শিয়াল মার্কেট পশ্চিম পাশের অংশ,উত্তরা ময়লার মোড়ের মেইন সড়ক সহ বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ হকার বসিয়ে,প্রতিদিন চাঁদা তুলছে রাসেল মন্ডল। সরেজমিনে গিয়ে দেখে গেছে,কাপড়ের দোকান,ফুলের দোকান,হোটেল,রেন্ট-এ-কারের অফিস,জুতার দোকান সহ হরেক রকম দোকান।প্রত্যেকটি জায়গার জন্য নির্দিষ্ট একটি লাইনম্যান আছে।বিকাল চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে এই সকল লাইনম্যানরা নির্দিষ্ট জায়গা থেকে টাকা তোলার কাজ করেন।এই টাকার পুরো অংশ চলে যায় উত্তরার চিহ্নিত চাঁদাবাজ রাসেল মন্ডলের কাছে।রাসেল মন্ডল এই টাকার বিভিন্ন অংশ ভাগ করে উপর মহলে পাঠায়।এই সংক্রান্ত রিপোর্ট বরাবর প্রকাশ পেল রাসেল মন্ডল তার চাঁদাবাজ গ্রুপ নিয়ে মানববন্ধন করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করে।
এই ফুটপাত বাণিজ্য উত্তরা জোনের উপ- পুলিশ কমিশনার মোর্শেদ আলম কিছু দিন পূর্বে বন্ধ করে দিলেও অদৃশ্য কারণে তা আবার ফের চালু হয়েছে।
মেইন সড়ক থেকে ফুটপাত উঠে গেলেও অলিতে গলিতে চলছে ফুটপাত।এতে করে সাধারণ মানুষ পড়ছে বিপাকে ও যানযটের সৃষ্টি হচ্ছে।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন দেখেও চোখে কালো চশমা পড়ে আছে অদৃশ্য কারণে।
একজন স্কুল শিক্ষার্থী প্রতিবেদককে বলেন উত্তরা এমনিতেই স্কুল-কলেজের অভাব নেই।যখন স্কুল কলেজ ছুটি হয়।রাস্তায় যানযটের কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।রাস্তার দুপাশে দখল করে দোকান পাট বসানোর কারণে রাস্তায় হাঁটাচলা করা যায় না।এর থেকে প্রতিকার চয় উত্তরাবাসী।
একজন পথচারী বলেন,রাস্তায় ফুটপাত না থাকলে মানুষ স্বচ্ছন্দ বোধ করে চলাফেরা করতে পারে। যানজটের মূল কারণই ফুটপাত।
এই বিষয়ে ঢাকা উওর সিটি করর্পোরেশন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন বলেন,আমরা প্রায় প্রায় অভিযান করে ফুটপাত উঠিয়ে দেই কিন্তু আবার দখল করে বসে।পুলিশ তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে জনগণ।