নিজস্ব প্রতিবেদক ::
দেশের পাঁচ সিটি করপোরেশনে (গাজীপুর, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন, রাজশাহী ও সিলেটে ২১ জুন, খুলনা ও বরিশালে ১২ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহার করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ সোমবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের ১৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। এতে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, এসব নির্বাচনে ইভিএমে ভোট হবে এবং কেন্দ্রে কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরাও থাকছে। ভোটের আপডেট তথ্য ট্যাবের মাধ্যমে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তারা কমিশনকে জানাবে। গত কিছুদিন সকাল সাড়ে ৮টায় ভোট শুরু করা হলেও এ পাঁচ সিটিতে ভোট হবে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ইসির নিজস্ব কর্মকর্তারা রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে, এ বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা। আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেটি মাথায় রেখে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটির ভোট সম্পন্ন করবে ইসি।
স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, প্রথম সভা থেকে পাঁচ বছরের মেয়াদ সিটি করপোরেশনের। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসেবে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ ভোট হয়েছে ২০১৮ সালের ২৭ জুন। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। সেই হিসাবে পরবর্তী নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হয়েছে গত ১১ মার্চ থেকে। অর্থাৎ গত ১১ মার্চ থেকে পরবর্তী ১৮০ দিন বা ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ সিটির ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গাজীপুরে ভোট হবে ২৫ মে, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৭ এপ্রিল, বাছাই ৩০ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ মে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ২৭ জুন। আর খুলনা সিটির সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। এই দুই সিটিতে নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ওই বছর ১১ অক্টোবর। এজন্য পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হবে আগামী ১১ এপ্রিল। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে ১০ অক্টোবরের মধ্যে। রাজশাহীতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে, বাছাই ২৫ মে, প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন। আর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ জুন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে একই বছর ৭ নভেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হবে আগামী ৬ মে। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে চলতি বছর ৫ নভেম্বরের মধ্যে। সিলেটে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে, বাছাই ২৫ মে, প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন। আর আগামী ২১ জুন ভোট গ্রহণ হবে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ওই বছর ১৪ নভেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হবে আগামী ১৪ মে। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এ বছর ১৩ নভেম্বরের মধ্যে।
বরিশালে ভোট ১২ জুন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে। এছাড়া, খুলনা সিটি করপোরেশনেও মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে। আর ভোট নেয়া হবে ১২ জুন।