মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বললে শাস্তির আইন চান মু‌ক্তি‌যোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী – দৈনিক মুক্ত বাংলা
ঢাকারবিবার , ৯ এপ্রিল ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি-ব্যবসা
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরও
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কোভিট-১৯
  8. ক্যারিয়ার
  9. খেলা
  10. জেলার খবর
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. মি‌ডিয়া
  14. মু‌ক্তিযুদ্ধ
  15. যোগা‌যোগ
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বললে শাস্তির আইন চান মু‌ক্তি‌যোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী

সম্পাদক
এপ্রিল ৯, ২০২৩ ২:৫২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক::

‘স্বাধীনতার ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার’ বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তাদের ‘রাষ্ট্রীয়ভাবে শাস্তি হওয়া উচিত’। তাই ‘স্বাধীনতাবিরোধীদের শাস্তির জন্য এবং দেশকে একটা সেফ গার্ড দেওয়ার জন্য, ইতিহাস বিকৃতকারীদের ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে মিথ্যাচারকারীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে শাস্তি দেওয়ার জন্য’ সংসদে একটা আইন পাশ করার প্রস্তাব দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

আজ রোববার (৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আনীত কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ আইন প্রণয়নের দাবি জানান।

মোজাম্মেল হক বলেন, ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ঘাতকরা শুধু একটা মানুষকে হত্যা করেনি, তারা একটি স্বাধীন সংসদ নয়, একটা জাতিকে হত্যা করেছিল। বাংলার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পদদলিত করেছিল। এসব ঘটনা চোখ মেলে দেখা দরকার, তা না হলে বার বার আমাদের হোঁচট খেতে হবে।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড, চার নেতার হত্যাকাণ্ড, সংবিধানে কাটাছেঁড়া এ সব কিছুই ছিল এদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলা। সেই কারণে ২৩ বছরের শোষণ-বঞ্চনার পরে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা এ মূল চার নীতির উপর ভিত্তি করে দেশ পরিচালিত হচ্ছিল। তারা এ ধারনাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল।

মন্ত্রী বলেন, ‘কয়েকদিন আগে বিএনপির এক নেতা বলেছেন, এর চেয়ে পাকিস্তান ভালো ছিল। তারা বলে, আমাদের এই মহান মুক্তিযুদ্ধের নাকি কোনো প্রস্তুতি ছিল না। তাহলে সিক্রেট ডকুমেণ্ট, প্রধানমন্ত্রী যা সংকলিত করেছেন সে সব যাবে কোথায়? তাহলে পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধুকে এন্টি-পাকিস্তানী বলা হয়েছে, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, বিচ্ছিন্নতাবাদী বলা হয়েছে, বার বার জেলে নেওয়া হয়েছে এসব ডকুমেণ্ট তো আছে। তারা এখনো পাকপ্রেমী, এদের মন থেকে সেই পাকিস্তানপ্রেম যায় নাই। তারা মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিতর্কিত করে তারা আবারো পাকিস্তান ঘরানার ধর্মীয় রাজনীতি চালু করে এ দেশকে অকার্যকর করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় ল্যুজ কনফেডারেশন করে পাকিস্তান টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিল। খুনী মোস্তাক, খুনী জিয়া বলেছিল ওয়ার কাউন্সিল করে মুক্তিযুদ্ধ করার জন্য এবং রাজনীতিক সরকারের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ না করার জন্য।’

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমি শুনেছি ল কমিশন নাকি এ ধরনের একটি আইনের প্রস্তাবনা করেছে, এ আইনটিকে যাতে জাতীকে সেফ গার্ডে রাখার জন্য এ সংসদে পাশ করা যায় সে আহ্বান জানাব।’

বিএনপি নাম উল্লেখ না করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, তারা বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চক্রান্ত করছে। শুধু তারাই চক্রান্ত করছে না, যারা এ সংসদকে বিশ্বাস করে না, দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীদের মুখপাত্র হিসেবে অনেকেই এ ষড়যন্ত্র করছে। আমি মনে করি সংসদ যেহেতু সমস্ত কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু, তাই এখানে মিথ্যাচার, ইতিহাসের বিকৃতি, তারা যখনই সময় পায় তখনই সে প্রচেষ্টা চালায়। এই রাষ্ট্রের সার্বভৌমিত্ব আরো বেশি হুমকির মুখে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু জেল হত্যা, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন, তিনিই দেশবিরোধী স্বাধীনতাবিরোধীদের শাস্তির জন্য এ আইনটি করতে পারেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।