নিমকি হোসেন ::
দুই বছরের জন্য পাঁচটি শর্তে উপমহাদেশীয় সিনেমা আমদানির অনুমতি পেলেন দেশীয় প্রযোজক-পরিবেশকরা। এ সময়ে বছরে ১০টি করে সিনেমা আনা যাবে। গতকাল সোমবার (১০ এপ্রিল) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (চলচ্চিত্র) মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ অনুমতির কথা জানানো হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানি সংক্রান্ত সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক মতামতের ভিত্তিতে বিদ্যমান আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪-এর ২৫ (৩৬) (গ) উপ-অনুচ্ছেদের শর্ত প্রতিপালনপূর্বক বাংলাদেশী চলচ্চিত্র রফতানির বিপরীতে সাফটাভুক্ত দেশ হতে উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানি করার জন্য শর্ত সাপেক্ষে পরীক্ষামূলকভাবে নির্দেশক্রমে অনুমতি প্রদান করা হলো।
যে পাঁচ শর্তে আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে:
ক. বাংলাদেশের বৈধ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিবেশকগণ উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানি করার সুযোগ পাবেন;
খ. উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র বাংলা সাবটাইটেলসহ পরীক্ষামূলকভাবে শুধু দুই বছরের জন্য রফতানির বিপরীতে আমদানি করার সুযোগ থাকবে;
গ. প্রথম বছর দশটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র রফতানির বিপরীতে সমান সংখ্যক চলচ্চিত্র আমদানি করতে পারবে:
ঘ. আমদানিকৃত উপমহাদেশীয় ভাষার চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পূর্বে অবশ্যই বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সনদ গ্রহণ করতে হবে; এবং
ঙ. বাংলাদেশে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল আযহা ও দূর্গাপুজার সপ্তাহে এই আদেশবলে আমদানিকৃত চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা যাবে না।
উপমহাদেশীয় ছবি বলা হলেও অনেক দিন ধরে হিন্দি সিনেমা আমদানি নিয়ে সরব দেশের একটি পক্ষ। সম্প্রতি শাহরুখ খান অভিনীত ‘পাঠান’ সিনেমা নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রায় সব পক্ষই একমত হয়। এবার তারই প্রতিফলন ঘটল সরকারি আদেশে।