নিজস্ব প্রতিবেদক::
নিয়ম ভাঙলে পদ্মা সেতুতে বাইক চলাচল আবারো বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুহস্পতিবার সকালে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাইকারদের জন্য, বিশেষ করে বাংলাদেশের তরুণ সমাজের জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের সিদ্ধান্ত এবং নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসেবেই দেখতে হবে। কারণ পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর গত কয়েক মাস মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ছিল। শুরুতেই আমরা তীব্র সংকটের মুখে পড়ি, তখন সেতুই প্রায় অচল হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় আমরা মোটরসাইকেল বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। এখন সময়ের বিবর্তনে আমার মনে হয়, বাইকার যারা আছেন, তারা মোটরসাইকেলে যেতে-আসতে আগ্রহী। তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা বোধ, দায়িত্বশীলতা জাগ্রত হয়েছে বলে আমাদের বিশ্বাস।’
তিনি বলেন, ‘একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই সিদ্ধান্ত দিলেন যে ঈদ উপলক্ষে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল যেটা বন্ধ ছিল তা আবার চালু করা হবে। তবে কিছু নিয়ম-কানুন আছে। ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে গতিবেগ থাকবে এবং সেতুর ওপর কোনো প্রকার গাড়ি থামিয়ে ছবি তোলা যাবে না। কোনো অবস্থায়ই লেন অতিক্রম করা যাবে না। আমি আশা করি, যারা ব্যবহার করবেন, মোটরসাইকেলে আসা-যাওয়া করবেন তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু জাতির সম্পদ। এ সম্পদ সুশৃঙ্খলভাবে ব্যবহার করা প্রত্যেক নাগরিকের অবশ্যই করণীয় কর্তব্য। যদি পদ্মা সেতুতে চলাচলে অন্যান্য যানবাহন চলাচলের সংকট হয়, কোনো কারণে অচলাবস্থা হয় কারো অপব্যবহারের জন্য অথবা কারো নিয়ম-নীতি না মেনে চলার জন্য, পদ্মা সেতু আবারো বাইক চলাচলের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে।’
মোটরসাইকেল আরোহীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ উপহার প্রধানমন্ত্রীর, কাজেই উপহারের মর্যাদা আপনারা সবসময় রাখবেন। তাহলে সবসময়ই পদ্মা সেতু খোলা থাকবে বাইকারদের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘যে অন্যায় করবে, নিয়ম মানবে না; তার ব্যাপারে নিয়ম ভঙ্গের যে অভিযোগ আসবে সেটা তো অন্যদের ব্যাপারে আসার কথা নয়। আজ সকাল থেকে যে শৃঙ্খলা বোধের পরিচয় আমাদের বাইকাররা দিচ্ছেন, তাতে আমরা সবাই খুশি। আমি আশা করি, এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’