নিজস্ব প্রতিবেদক ::
ঈদের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত সাধারণ মানুষ। শপিং মলগুলোর সঙ্গে এবার খাদ্যপণ্যের বাজার ও সুপার শপগুলোতেও ভিড় বাড়ছে। সেমাই, চিনি, ঘি, বাদাম, কিসমিস, পোলাওয়ের চাল, গরম মসলা ও মাংস কেনাকাটা করছেন ভোক্তারা। আজ শুক্রবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গিয়েছে।
বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দোকানের সামনেই বিভিন্ন মানের সেমাই আর মসলার পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। এসব স্থানে পণ্য কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেমাই, চিনি ও মসলা ছাড়াও গুঁড়োদুধ, ঘি, সয়াবিন তেল, নারিকেল, সুগন্ধি চাল, কিশমিশ, বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদামসহ বিভিন্ন পণ্য ভালো বিক্রি হচ্ছে।
ঈদে সেমাইয়ের কদর বেড়ে যায়। বরাবরের মতো ভোক্তাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে খোলা ও প্যাকেটজাত সেমাই। স্পেশাল লাচ্ছা, কুলসুম, বনফুল, বোম্বে সুইটসের প্রতি প্যাকেট সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা করে। আর আলাউদ্দিনের লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে প্রতি প্যাকেট ১৬০ টাকা করে। বনফুলের ৫০০ গ্রাম এক প্যাকেট সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। খোলা লাচ্ছা সেমাই প্রতি কেজি ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
সেমাই রান্নার উপকরণ গুঁড়োদুধ, কিশমিশ, চিনির আগে থেকেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে প্রতি কেজি কিশমিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা, কাজু বাদাম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯০০ থেকে ২ হাজার টাকায়, পেস্তা বাদাম বিক্রি হচ্ছে ১৮০০-১৮৫০ টাকায় আর সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা বেড়ে চিনা বাদাম বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৬০ টাকায়। এছাড়া বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২৫-১৩০ টাকা। কিশমিশের কেজি মানভেদে ৪৫০-৭০০ টাকা।
বর্তমানে দারুচিনি প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৪০ টাকায়, এলাচ বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ১৮০০-২৬০০ টাকায়।
এদিকে ঈদকে ঘিরে মাংসের চাহিদাও বেড়েছে। রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। খাসি ও ছাগলের মাংস ৯০০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকা কেজি। পাকিস্তানি মুরগি ৩৪৫-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।