নিজস্ব প্রতিবেদক ::
রাজউক ৪২টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং ১৯৭টি ভবন সংস্কারের সুপারিশ করেছে।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) চিহ্নিত ৪২টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। একই সঙ্গে ১৯৭টি ভবন মেরামত করা হবে।
মঙ্গলবার (২ মে) সকালে নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির তৃতীয় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
সম্প্রতি সংগঠিত বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনা এবং দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে দক্ষিণ সিটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মেয়র বলেন, “রাজউক ইতোমধ্যে ৪২টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং ১৯৭টি ভবন সংস্কারের সুপারিশ করেছে। এ তালিকা আগামী ৭ দিনের মধ্যে রাজউক আমাদেরকে হস্তান্তর করবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই ৪২টি ভবন সরকারি-বেসরকারি যেটাই হোক, কতদিনের মধ্যে ভেঙে নতুন করে নির্মাণের ব্যবস্থা করা যায় এবং ১৯৭টি ভবনের মধ্যে কতগুলোতে কার্যকর সংস্কার করে ত্রুটিমুক্ত করা যায় এ ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নেবো। সেজন্য ৯০ দিন পরে আবারও কমিটির বৈঠক ডাকা হবে। এখন থেকে প্রতি প্রান্তিকে আমরা কমিটির সভা করব।”
দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই ন্যূনতম ২০০ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবী দল গঠন করা হবে বলে জানিয়ে মেয়র বলেন, “প্রতিটি ওয়ার্ডে ন্যূনতম ২০০ সদস্য নিয়ে আমরা স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করতে চাই। যেকোনো দুর্যোগ পরবর্তী তাৎক্ষণিকভাবে এসব দল যেন প্রস্তুত থাকে, সাড়া দিতে পারে। আমরা সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই। এসব দলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্কাউটসে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী, বিএনসিসি, রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রত্যেক ওয়ার্ডে যেসকল মার্কেট রয়েছে, সেসব মার্কেটের নিরাপত্তারক্ষীরাও এ দলে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে তাদের বয়সসীমা শিথিল করা হবে। ৩০ মে এর মধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডেই এসব স্বেচ্ছাসেবী দল গঠন করা হবে।”
সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধারকাজে সাধারণ জনতার ভিড় ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে উদ্ধারকর্মীদের কাজে বাধার সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে ডিএসসিসির মেয়র বলেন, “যেকোনো দুর্যোগে উদ্ধারকাজ পরিচালনায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি মানদণ্ড অনুযায়ী কী কী ব্যবস্থা নিতে পারি সেই নির্দেশিকা প্রণয়নের জন্য আমরা ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দিয়েছি। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী তিন মাস অন্তর অন্তর এলাকাভিত্তিক মহড়া দেবো আমরা, যাতে মাঠ পর্যায়ে আমরা একটা সুস্থ ব্যবস্থাপনা আনতে পারি।”