রাজন ইসলাম রাজু
গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকার ৫৩ নং ওয়ার্ড বড় দেওড়া মিত্তি বাড়ী নিবাসী হাফেজ মাওলানা মোঃ সিয়ামের রহস্য জনক মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাগেছে, গত ২৭শে জুলাই বুধবার রাতে ঢাকার মালিবাগে তার রহস্য জনক মৃত্যু হয় বলে, জানায় এলাকাবাসী।স্থানীয় লোকজন মাধ্যমে জানা যায়, তার মৃত্যুর সাধারণ ভাবে হয় নি। তার আপন বড় ভাই আর এম পি ডাক্তার ফকরুল আবেদিন সম্পদের লোভে সিয়ামকে বিভিন্ন সময় পাগল ও মানসিক রোগী বানিয়ে রেখে ছিল। এলাকাবাসী আরো জানায় বড় দেওড়া তাদের চারতলা নিজস্ব বাড়ী ও জমি, এছাড়াও গ্রামের বাড়ির জমি একক অংশীদার হওয়ার জন্যই সিয়ামের আপন বড় ভাই ফকরুল আবেদিন তাকে বিভিন্ন সময় পাগল বানিয়ে রাখতো!গত কয়েক বছর পুর্বে তার বড় ভাই তাকে ঘরে আটকিয়ে রেখে নির্যাতন করতো বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।এলাকাবাসী আরও জানায়, তার বড় ভাই একজন ফার্মেসীর ঔষধ ব্যবসায়ী। তার বাড়ীর নিচে ঔষধের একটি দোকান রয়েছে এবং আউচ পাড়া ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে একটি হাসপাতালে কিছু অংশ রয়েছে।স্থানীয় লোকজন ও এলাকাবাসীর ধারণা,তার ভাই মেডিসিন ব্যবসায়ী হওয়ায় বিভিন্ন মেডিসিন খাইয়ে তাকে পাগল ও মানসিক রোগী বানিয়ে রাখতো!সিয়ামের মৃত্যু কোথায় হয়েছে বা কিভাবে হয়েছে এ বিষয়ে কেউ বলতে পারে না।সিয়ামের মৃত্যুর পর তড়িঘড়ি করে দাফন সম্পন্ন করা হয়।কিন্তু কেন?এই রহস্য এলাকাবাসী জানতে চায়। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীদের দাবি। মাওলানা সিয়ামের লাশটি কবর থেকে তুলে ময়না তদন্ত মাধ্যমে সঠিক মৃত্যুর কারণ তুলে ধরার জোর দাবি জানায় এলাকাবাসী।এ বিষয়ে হাফেজ সিয়ামের বড় ভাই ফখরুল আবেদিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে,তিনি মৃত্যুর বিষয়টি স্বাভাবিক বলে জানায়। তিনি এলাকার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের নাম বলে সাংবাদিকদের ভয়-ভীতি দেখানোর চেষ্টা করছে।লাশ কোথায় দাফন করা হয়েছে জানতে চাইলে ফকরুল আবেদিন বলেন চেরাগ আলী সিটি কর্পোরেশনের কবরস্থানে। হাফেজ মাওলানা সিয়ামের লাশ ২৮ শে জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে জানাযা শেষে দাফন করা হয়।এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কবরস্থানের তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুল ইসলাম ওরফে সাদু বলেন পাশের মাদ্রাসার কিছু ছাত্র সহ একজন হুজুর এসে মৃত্যু ব্যক্তির জানাযা পড়িয়ে দাফন সম্পূর্ণ করা হয়। মৃত্যু ব্যক্তির বড় ভাই নিজের হাতে আমাদের খাতায় নাম ঠিকানা লিখে দিয়ে যান।খাতা দেখতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক খাতা বাহির করে সাংবাদিকদের দেখান, সেখানে ২৮ তারিখে পরিবর্তে ২৭ তারিখ লিখা আছে এবং সেখানে যে মোবাইল নম্বর দেয়া আছে সেটি বন্ধ পাওয়া য়ায়।এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব শাহ আলম সাহেবের সাথে মুঠোফোনে কথা, তিনি বলেন বিষয়টি আমার জানা নাই,আপনাদের মাধ্যমে আমি জানতে পারলাম,তবে তদন্ত সাপেক্ষে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিব।
