নিজস্ব প্রতিবেদক ::
দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে সংবর্ধনায় বরণ করে নিয়েছে তার নিজ জেলা পাবনার মানুষ। এ সময় রাষ্ট্রপতি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তার সমালোচকদের জবাব দিয়ে বলেছেন, রাজপথে দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়েই তিনি বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত নাগরিক কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে পাবনা-ঢাকা সরাসরি ট্রেন চালুর ঘোষণা দেন রাষ্ট্রপ্রধান।
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমি ভেসে আসিনি। রাজপথ থেকেই বঙ্গভবনে গিয়েছি। পাবনার রাজপথ থেকে বঙ্গভবনে গিয়েছি।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর ছোঁয়া পেয়েছি। কারাগারে যেতে হয়েছে। চরম অত্যাচারের শিকার হয়েছি। রাতের আঁধারে তুলে নেয়া হয়েছে। হাতকড়া পরানো হয়েছে। ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়েছে।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পাবনার সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতির কাছে স্থানীয় বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। রাষ্ট্রপতি তাদের দাবিগুলো শোনেন এবং তা পূরণের আশ্বাস দেন।
এর আগে বিকেল ৩টা ২৪ মিনিটে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন রাষ্ট্রপতি। এ সময় উপস্থিত সবাই দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে কৃতিসন্তানকে বরণ করেন। এরপর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতসহ ধর্মগ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে বিকেল ৩টা ২৭ মিনিটে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু; পাবনার বাকি চার আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, নুরুজ্জামান বিশ্বাস, মকবুল হোসেন ও আহমেদ ফিরোজ কবির; সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি; পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল; নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অঞ্জন চৌধুরী, সদস্য সচিব-১ অধ্যাপক শিবজিত নাগ ও সদস্য সচিব-২ আব্দুল মতীন খান; এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।