এবি ব্যাংকের সাড়ে ৩শ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদনের ঘটনা অনুসন্ধানের নির্দেশ – দৈনিক মুক্ত বাংলা
ঢাকাবুধবার , ২৪ মে ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি-ব্যবসা
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরও
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কোভিট-১৯
  8. ক্যারিয়ার
  9. খেলা
  10. জেলার খবর
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. মি‌ডিয়া
  14. মু‌ক্তিযুদ্ধ
  15. যোগা‌যোগ
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

এবি ব্যাংকের সাড়ে ৩শ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদনের ঘটনা অনুসন্ধানের নির্দেশ

সম্পাদক
মে ২৪, ২০২৩ ৮:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক ::

একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এবি ব্যাংকের ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদনের অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ঋণ অনুমোদনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রুল জারি করেছেন আদালত।

নামসর্বস্ব একটি প্রতিষ্ঠানের নামে শত শত কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে বুধবার সংবাদ প্রকাশ হয়। সেই প্রতিবেদন দেখে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

এ ঘটনায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং ওই ঋণ অনুমোদনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আদালতের এ আদেশ প্রতিপালন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া দুদক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ সচিব ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব, বিএফআইইউ, সিআইডি, এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হাসান এম এস আজিম।

রুল জারির আগে এবি ব্যাংকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে বলেন, ‘এই ঋণের বিষয়টি এরই মধ্যে জানতে পেরে বিএফআইইউ সেটিকে আটকে দিয়েছে। যেহেতু ঋণটি আটকে দেয়া হয়েছে, তাই এ অবস্থায় রুল জারির প্রয়োজন দেখছি না। রুল, আদেশ হলে ব্যাংকটির আমানতকারীদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়বে, তাদের মধ্যে ভীতি তৈরি হবে। আদেশ হলে ব্যাংকটির শেয়ারের দাম সঙ্গে সঙ্গে পড়ে যাবে।’

এ সময় আদালত উপস্থিত আইনজীবীর মতামত জানতে চাইলে ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক আদালতকে বলেন, ‘রুলসহ আদেশ দেয়ার আগে প্রতিবেদনটির সত্যতা যাচাই করার জন্য এক সপ্তাহ সময় নেয়া যেতে পারে। প্রতিবেদনটির বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করাও জরুরি। দেখা যাক, এবি ব্যাংক এই প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো প্রতিবাদ দেয় কি না। আদেশের জন্য এক সপ্তাহ অপেক্ষা করা যেতে পারে। এ ছাড়া একই প্রতিষ্ঠান আরও পাঁচটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে। সেখানে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) তো তাদের নাম দেয়নি।’

এরপর আইনজীবী মইনুল ইসলাম বলেন, ‘এমনিতেই ব্যাংকিং খাতের অবস্থা টালমাটাল। এ অবস্থায় আদেশ দিলে এ পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। সারা বিশ্বেই ব্যাংকিং খাতে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। বিভিন্ন দেশে অনেক ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে।’

সবার কথা শুনে আদালত রুল জারি করে আদেশ দেন।

‘খেলাপির তথ্য লুকিয়ে আরও বড় জালিয়াতি’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ন্যাশনাল ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে রাতে ঋণের টাকা তুলে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী হায়দার রতন। সম্প্রতি একটি ভুয়া কোম্পানির অনুকূলে ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করেছে এবি ব্যাংক, যার সুবিধাভোগী সেই ব্যবসায়ী রতন। জালিয়াতির এই ঋণের তথ্য জানতে পেরে এরই মধ্যে তা আটকে দিয়েছে বিএফআইইউ। কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ অনুমোদনের বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদের ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আলী হায়দার রতনের নামে পাঁচ ব্যাংকে বর্তমানে ৫৫৯ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি কাজের কার্যাদেশের বিপরীতে সন্দেহজনক উপায়ে নেয়া এসব ঋণ এখন খেলাপি।

বিএফআইইউর পরিদর্শনে উঠে এসেছে, ব্র্যান্ডশেয়ার ট্রেডিংয়ের নামে একটি নামসর্বস্ব কোম্পানির নামে ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ সম্প্রতি অনুমোদন করে এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। গত ১০ জানুয়ারি ব্যাংকটির গুলশান শাখায় ঋণের আবেদন আসে। আবেদনে প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেখানো হয় মোহাম্মদ আতাউর রহমান ও মো. মামুন রশিদকে। তবে এর ঠিকানা দেয়া হয়েছে রতনের মালিকানাধীন ইনফ্রাটেক কনস্ট্রাকশনের, যার কার্যালয় ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে। আর আবেদনপত্রের প্যাডে যে ই-মেইল ও ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হয়েছে তা-ও তারই মালিকানার ব্র্যান্ডউইন নামে আরেকটি কোম্পানির। এ কোম্পানির নামে দ্রুত ছাড় করতে আবেদনের দিনই এবি ব্যাংকের গুলশান শাখা ব্যবস্থাপকসহ তিন কর্মকর্তা গ্রাহকের ধানমন্ডির অফিস ও বাড়ির ঠিকানা পরিদর্শন করে একটি পরিদর্শন প্রতিবেদন দেন। গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের নামে কখনো কোনো আমদানি না হলেও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রাহক প্রচুর পরিমাণে জ্বালানি, নির্মাণসামগ্রী, রাসায়নিক পদার্থ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য আমদানি করেন।

পত্রিকার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আমদানি তো দূরে থাক, কোম্পানিটির নিবন্ধন নেয়া হয় গত জুনে। এরপর গত নভেম্বরে ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে এবি ব্যাংকের গুলশান শাখায় একটি হিসাব খোলা হয়। এর বাইরে কোনো লেনদেনও নেই। অথচ ভুয়া পরিদর্শন প্রতিবেদন দিয়ে একেবারে নতুন নিবন্ধিত কোম্পানিকে বড় কোম্পানি দেখানো হয়। পরদিন ঋণপ্রস্তাবটি শাখা থেকে প্রধান কার্যালয়ের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটিতে পাঠানো হয়। আবেদনের এক মাস পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের ৭৫৫তম পর্ষদ সভায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের জোর চেষ্টায় তা অনুমোদন হয়

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।