আওয়ামী লী‌গের ত‌্যা‌গি নেতা‌দের মুল‌্যায়ণ করা প্রয়োজন – দৈনিক মুক্ত বাংলা
ঢাকাশুক্রবার , ২৬ মে ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি-ব্যবসা
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরও
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কোভিট-১৯
  8. ক্যারিয়ার
  9. খেলা
  10. জেলার খবর
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. মি‌ডিয়া
  14. মু‌ক্তিযুদ্ধ
  15. যোগা‌যোগ
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আওয়ামী লী‌গের ত‌্যা‌গি নেতা‌দের মুল‌্যায়ণ করা প্রয়োজন

সম্পাদক
মে ২৬, ২০২৩ ৮:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আ‌সিফ আনজুম পিয়াস ::

মার্কিন ভিসা নীতির নিষেধাজ্ঞায় নৌকা ডুবলো নাকি নৌকা জনপ্রিয়তা হারালো সেটা মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের পর হাইকমিশনারদের সিকিউরিটি কমিয়ে দেওয়া ও আমেরিকার হুমকির মধ্যে সরকারের মেজাজ হারানোর ব্যপারটা বিদ্যমান। আজকের এই আমেরিকা ভীতি বুঝতে হলে একটু পিছনে যেতে হবে।

স্বাধীনতার আগে এবং পরে আমেরিকা, চীন ও সৌদি আরবের প্রচারণা ছিল শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগ ভারতের তাঁবেদার। স্বাধীনতার পরে সেই আমেরিকার ব্যপারে বঙ্গবন্ধুকে সাবধান করেন বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমেদ। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের কাজে হাত দিয়ে বঙ্গবন্ধু অনুভব করেছিলেন মার্কিন অর্থ ও খাদ্য সাহায্য তার দরকার। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে খাদ্যাভাব প্রকট হয়ে উঠেছিল। তিনি আমেরিকার সঙ্গে খাদ্যচুক্তি করার আশায় ভারতপন্থী এই লেবেলটা সাময়িকভাবে সরাতে চেয়েছিলেন। আমেরিকার সন্দেহ ভাঙ্গার জন্যই তিনি সাময়িকভাবে তাজউদ্দীন আহমদকে মন্ত্রিসভা থেকে সরাতে চেয়েছেন এবং আবদুস সামাদ আজাদকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে কৃষিমন্ত্রীর পদ দিয়েছিলেন।

শাষক হিসেবে বঙ্গবন্ধু দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ছিলেন না। অপরপক্ষে তাজউদ্দীন ছিলেন ধীমান ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে বারবার বোঝানের চেষ্টা করেছিলেন এবং পরবর্তীতে অভিমানে পদত্যাগ করেন।

স্বাধীন বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রের প্রথম লক্ষ্য ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রশ্ন হলো তাজউদ্দীন কেন প্রথম লক্ষ্য ছিলেন। কারণ, তাজউদ্দীনকে সরিয়ে দিতে পারলে- পরাজিত করা সম্ভব হলে! বাকি লক্ষ্যগুলো হাসিল করা ছিল সহজ- সময়ের ব্যাপার মাত্র। হয়েছিলও তাই, বঙ্গবন্ধুকে হাসের মাংস রেধে ভাত খাওয়ানো লোকটা নাচতে নাচতে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, অনেকে মন্ত্রীসভাতেও যোগ দিয়েছেন।

যুদ্ধের সময় সরকার গঠন, যুদ্ধ পরিচালনা, শরণার্থীদের খাদ্য যোগান এবং স্বাধীনতা পরবর্তী তাজউদ্দীনের অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও পররাষ্ট্রনীতি ছিল ঈর্ষনীয়। আজ যদি আমরা তাজউদ্দীনের কথা শুনতাম তাহলে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি এরকম ব্যলান্সিং হত না। আমরাও মালেয়েশিয়া, দুবাই হতে পারতাম।

এই আওয়ামিলীগ দেশটার জন্য অনেক কিছু করেছে কিন্তু মুল্যায়ন করেনি দলের ত্যাগী নেতাদের। সামনে নির্বাচন সেটাকে সামনে রেখে ত্যাগীদের মুল্যায়ন করা হোক। চাদাবাজ, চোরাকারবারি, মাটিচোর, অযোগ্যদের সরিয়ে দিয়ে নতুন সূর্যের প্রত্যাশা হোক। জয় বাংলা

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।