আন্তজার্তিক প্রতিবেদক ::
জন্মহারের পর চীনে উল্লেখযোগ্যভাবে বিয়ের সংখ্যা কমে এসেছে। গত বছর ৬৮ লাখ ৩০ হাজার দম্পতি নথিবদ্ধ হয়েছেন। যা ১৯৮৬ সালে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বনিম্ন। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত উপাত্ত দেখাচ্ছে, ২০২২ সালে আগের বছরের চেয়ে বিয়ে কমেছে প্রায় আট লাখ।
চীনের বিয়ের হার গত এক দশকে দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। ২০১৩ সালে প্রায় এক কোটি ৩৫ লাখ দম্পতি নথিবদ্ধ হন। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।
বিয়ে ও জন্মহারের ক্রমবর্ধমান পতন নিয়ে চীনের নীতিনির্ধারকরা উদ্বিগ্ন। গত বছর দেশটিতে ছয় দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো জনসংখ্যার ঋণাত্মক বৃদ্ধি হয়। যা দেশটির অর্থনীতির জন্য বড় সতর্কবার্তা।
২০১২ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর শি জিনপিং জন্মহার বাড়াতে অল্পবয়সী নারীদের বিয়েতে উৎসাহিত করেন। কিন্তু ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে নারীদের বিয়ের গড় বয়স প্রথমবারের মতো ২৪ থেকে প্রায় ২৯-এ উন্নীত হয়।
২০১৬ সালে কয়েক দশকের পুরনো এক সন্তান নীতি পরিত্যাগ করে চীন। এখন তিন সন্তানের জন্ম দিতে উৎসাহিত করছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের সুবিধার ঘোষণা করেছে সরকার। তাতেও বিয়ে বা জন্মহার দুটোই নিম্নমুখী।
প্রকাশিত তথ্যে আরো দেখা যায়, ২০২২ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে ২১ লাখ। যা আগের বছরের তুলনায় কিছুটা কম। রেকর্ড রাখার পর থেকে চীনের বিবাহবিচ্ছেদের হার ২০১৯ সালে ছিল সর্বোচ্চ।
এখন বিচ্ছেদ কমার কারণ হিসেবে আংশিকভাবে কম বিয়েকে উল্লেখ করা হচ্ছে। আবার ৩০ দিনের ‘কুলিং অব পিরিয়ড’ আইন চালু করায় বিচ্ছেদের হার তীব্রভাবে হ্রাস করছে বলে মনে করা হয়। এ নিয়ে দেশটির সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতিবাচক মনোভাব দেখা গেছে। অনেকেই বলছেন, বিচ্ছেদের ওপর বিধিনিষেধের কারণেও মানুষ বিয়েতে অনুৎসাহিত হয়।