মানবপাচার নির্মূূল প্রচেষ্টায় এখনও পিছিয়ে বাংলাদেশ : যুক্তরাষ্ট্র – দৈনিক মুক্ত বাংলা
ঢাকাশুক্রবার , ১৬ জুন ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি-ব্যবসা
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরও
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কোভিট-১৯
  8. ক্যারিয়ার
  9. খেলা
  10. জেলার খবর
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. মি‌ডিয়া
  14. মু‌ক্তিযুদ্ধ
  15. যোগা‌যোগ

মানবপাচার নির্মূূল প্রচেষ্টায় এখনও পিছিয়ে বাংলাদেশ : যুক্তরাষ্ট্র

সম্পাদক
জুন ১৬, ২০২৩ ৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক ::

মানবপাচার নির্মূূল প্রচেষ্টায় এখনও পিছিয়ে বাংলাদেশ। ন্যূনতম মান অর্জিত না হলেও প্রচেষ্টা আছে। তবে আগের বছরের চেয়ে গত এক বছরে মানবপাচার মোকাবেলায় সরকারের উদ্যোগ বেশি ছিল। এ কারণে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে ‘টায়ার ২’ এ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৫ জুন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন মানবপাচার মোকােবলা বিষয়ক ২০২৩ সালের বৈশ্বিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য বাংলাদেশ ২০২২ সালেও ‘টায়ার ২’তে ছিল। এর আগে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে ‘টায়ার ২ নজরদারি’ তালিকায় রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারগুলোর মানবপাচার মোকােবলার প্রচেষ্টাকে মূল্যায়ন করা হয়। মানবপাচার মোকােবলা প্রচেষ্টায় ন্যূনতম মান অর্জনকারী দেশগুলোকে ‘টায়ার ১’ তালিকায় রাখা হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচার মোকাবিলায় ‘টায়ার ১’ এ আছে।

প্রচেষ্টা আছে কিন্তু ন্যূনতম মান অর্জন করেনি এমন দেশগুলোকে রাখা হয় ‘টায়ার ২’ এ। প্রচেষ্টা সত্বেও অগ্রগতি কম এবং পাচার বাড়ছে এমন দেশগুলোকে রাখা হয় ‘টায়ার ২’ নজরদারি তালিকায়। প্রচেষ্টা কম, অগ্রগতিও নেই এমন দেশগুলোকে রাখা হয় ‘টায়ার ৩’ তালিকায়।

এ বছরের মার্কিন প্রতিবেদনে বাংলাদেশে মানবপাচারকারীদের বিচার ও দোষী সাব্যস্ত করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রথমবারের মতো মানবপাচারের শিকার রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মামলার তদন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার পরিচালিত জনশক্তি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে কিছু নিয়োগ ফি কমানো হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার তার জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। বাংলাদেশ মানবপাচারের ওপর প্রথম জাতীয় গবেষণা প্রকাশ করেছে।

তবে সরকার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ন্যূনতম মান পূরণ করতে পারেনি বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। সরকার আইন প্রয়োগের প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করলেও অভ্যন্তরীণ জটিলতা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত উদ্যোগ নেয়নি। পাচারের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা এখনও পর্যাপ্ত নয়। মানবপাচার ও অভিবাসীদের পাচারের বিষয়টিকে অনেক ক্ষেত্রে এক করে ফেলা হয়।

মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালত বেশিরভাগ পাচারকারীদের কারাদেণ্ডর পরিবর্তে জরিমানা করে। এটি মানবপাচার প্রতিরোধকে দুর্বল করে এবং পাচারের শিকার ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নিরাপত্তার উদ্বেগ সৃষ্টি করে।

যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জন্য ১০টি সুপারিশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচারের তদন্ত ও বিচারের প্রচেষ্টা জোরদার দেখতে চায়। বিশেষ করে, দোষী সাব্যস্ত হওয়া অপরাধীদের শাস্তি ও উল্লেখযোগ্য কারাদণ্ড চায়। ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে পাচারের শিকার ব্যক্তিদের শনাক্ত করার প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া মানবপাচার মামলার বিচারে ট্রাইব্যুনালকে আরো শক্তিশালী করার সুপারিশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রতিবেদনে মানবপাচার মোকাবিলা ও ভুক্তভোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী, শ্রম পরিদর্শক, অভিবাসন কর্মকর্তা, এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার সুপারিশ রয়েছে।

এছাড়া রোহিঙ্গাদের মানবপাচারের অভিযোগ জানানোর পদ্ধতি সুস্পষ্ট করা, বিশ্বাসযোগ্য অভিযোেগর তদন্ত ও বিচারের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শ্রম অধিকার, শ্রম আইন, এবং ন্যায়বিচার এবং বিদেশী সহায়তার সুযোগসহ অভিবাসী কর্মীদের বিদেশে যাওয়ার আগে প্রশিক্ষণের মান উন্নত করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া গৃহভিত্তিক কর্মীসহ অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মীদের সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং শ্রম বা ফৌজদারি আদালতে মামলার সুযোগ দেওয়ার সুপারিশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যৌনতার জন্য শিশুদের পাচার রোধে বিশেষ নজরদারিরও সুপারিশ রয়েছে মার্কিন প্রতিবেদনে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।