সেলফোনের ব্যাটারি পরিবর্তন নিশ্চিতে ইইউর নতুন আইন – দৈনিক মুক্ত বাংলা
ঢাকাসোমবার , ১৯ জুন ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি-ব্যবসা
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরও
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কোভিট-১৯
  8. ক্যারিয়ার
  9. খেলা
  10. জেলার খবর
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. মি‌ডিয়া
  14. মু‌ক্তিযুদ্ধ
  15. যোগা‌যোগ

সেলফোনের ব্যাটারি পরিবর্তন নিশ্চিতে ইইউর নতুন আইন

সম্পাদক
জুন ১৯, ২০২৩ ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

‌নিজস্ব প্রতি‌বেদক ::

গিজচায়নায় প্রকাশিত খবরের তথ্যানুযায়ী, ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা প্রযুক্তিগত পণ্যের ক্ষেত্রে আইন নিয়ে কাজ করছেন এবং তারা তাদের নতুন পরিকল্পনায় সফল হয়েছেন। মেরামত করার অধিকার নিশ্চিতের অংশ হিসেবে প্রস্তুতকারকদের পরিবর্তনযোগ্য ব্যাটারি ফেরত দিতে বাধ্য করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ডিভাইসগুলো এমনভাবে তৈরি করা প্রয়োজন যাতে সেগুলো প্রতিস্থাপন করার জন্য কোনো বিশেষ সরঞ্জাম বা দক্ষতার প্রয়োজন না হয়।

সম্প্রতি ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রায় সর্বসম্মতিক্রমে যন্ত্রাংশ সংযোজনে আঠালো উপাদান ব্যবহার নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে ব্যবহারকারী প্রয়োজন অনুযায়ী ডিভাইসের ব্যাটারিসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করতে পারবে। এ আইন অনুসারে ফোনের ব্যাটারি অন্য কোনো উপায়ে নির্ধারিত অংশে বসাতে হবে। কেননা বর্তমানে ডিসপ্লের পেছনের অংশে ব্যাটারি আঠা দিয়ে বসানো থাকে।

কোনো ব্যবহারকারী যদি মেরামতখানায় ভাঙা ডিসপ্লের ডিভাইস নিয়ে যায়, তাহলে সেখানে আলাদা ব্যাটারিও দেয়া হতে পারে। এমন মেরামতসেবাটি অবশ্য ওয়ারেন্টি থাকা পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য, এমনকি সুবিধাজনকও বটে। কিন্তু ওয়ারেন্টির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে স্ক্রিন প্রতিস্থাপনের জন্য ব্যাটারির খরচও বহন করতে হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ খরচ পুরো ডিভাইসের মোট ক্রয়মূল্যের অর্ধেকের কাছাকাছিও চলে যায়।

নতুন এ আইনের সঙ্গে জড়িত পরিবেশের ভাগ্যও। এতে ব্যাটারি নষ্ট হলেই ফোনটি ব্যবহারযোগ্যতা হারিয়ে ফেলবে না। প্রতিস্থাপনযোগ্য ব্যাটারি কমাবে ই-বর্জ্যের পরিমাণ। তবে অন্যপক্ষে প্রস্তুতকারকদের জন্য ব্যাপারটি প্রতিকূল। যদিও কেউ তাদের সেলফোন তৈরির পদ্ধতিকে আরো জটিল করতে বাধ্য করেনি। একটি প্রতিস্থাপনযোগ্য ব্যাটারির জন্য ফোন কয়েক মিলিমিটার অধিক পুরু হওয়ায় ব্যবহারকারীদের কোনো আপত্তি ছিল না বলেই উঠে এসেছিল তৎকালীন এক গবেষণায়।

শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এ ধরনের বিধান চালু করলেও ব্যাপারটি ইউরোপেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। কারখানাগুলোর উৎপাদন প্রযুক্তিকে ১০ বছর আগের পর্যায়ে ফিরিয়ে আনা এ পর্যায়ে এসে গ্রহণযোগ্য নয়। অর্থাৎ পুরনো চলের সেই ব্যাক কভারসহ সেলফোন পাওয়ার আশা করা যাবে না। তবে নতুন উৎপাদন পরিকল্পনা ও সুবিধা উপযোগী প্রযুক্তির জন্য নির্মাতাদের হাতে ২০২৭ সাল পর্যন্ত সময় আছে। অর্থাৎ বর্তমানের মতোই অন্তত আরো চার বছর এসব ফোন চালাতে হবে।

২০২৭-এর পরে নির্মাতাদের নতুন সমাধান বাস্তবায়ন করতে হবে। সেলফোনে ব্যাটারি বসানো বা বের করার নতুন কোনো ধারণা আনতে হতে পারে। শুধু ইইউর নিয়ম মানতে গিয়ে যে কেবল ইউরোপের জন্য আলাদা করে ফোন তৈরি হবে এমনটা ভাবার কারণ নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সামগ্রিকভাবেই আসতে পারে নতুন কোনো কেসিং পদ্ধতি কিংবা সিমের মতো করে ব্যাটারি সংযুক্ত করার কোনো উদ্ভাবনী সমাধান।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।