আরিফ হোসেন নিশির ::
সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের কোন সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশন সঠিক সময়ে নির্বাচনের তারিখ দিবে। গণভবনে আজ বুধবার (২১ জুন) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড ও কাতার সফরের সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবাই এটা জানে (উচ্চ আদালতের রায় এবং সংবিধান সংশোধন)। এটা জানার পরও তারা কেন সাংবিধানিক সংকট তৈরির চেষ্টা করছে? এর উদ্দেশ্যটা কী? এর অর্থ গণতান্ত্রিক ধারাকে ধ্বংস করা। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া আমাদেরও দাবি। দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যাচাই বাচাই করে আমরা অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেব। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট হবে। যে ফুলটি সবচেয়ে সুন্দর, সেটি আমি বেছে নেব।
সরকার প্রধান বলেন, কোনো অনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের কোনো সুযোগ নেই। উচ্চ আদালতের একটি রায় আছে যে- একজন নির্বাচিত সরকারপ্রধানের স্থলাভিষিক্ত হবেন অন্য নির্বাচিত সরকারপ্রধান এবং সেই অনুযায়ী সংবিধানও সংশোধন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, গত সাড়ে ১৪ বছর ধরে চলমান গণতান্ত্রিক ধারা ও আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিকে ধ্বংস করে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করাই এদের উদ্দেশ্য। এখন এটা দেশের জনগণের ওপর নির্ভর করছে যে- তারা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণ চায়, নাকি বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে বাংলাদেশ যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল- আবার তা চায়।
বিএনপিসহ আরো কয়েকটি দল রাজপথে নেমেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন যে, তাদের সমস্যা কী ও তাদের অর্থের উৎস কোথায়?
এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ড. আনিসুল হক এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।