নিজস্ব প্রতিবেদক ::
সেরা দশ বাসযোগ্য শহরের মধ্যে রয়েছে এশিয়ার একমাত্র শহর জাপানের ওসাকা। ৯৬ পয়েন্ট পেয়ে ১০ নম্বরে রয়েছে শহরটি। ৪৩ দশমিক ৮ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার ১৬৬ তম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। বাসযোগ্যতার তালিকায় ঢাকার অবস্থান নিচের দিক থেকে ৭ম।
স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, স্থিতিশীলতা, অবকাঠামো এবং পরিবেশসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর বিবেচনায় নিয়ে তালিকাটি করা হয়। চমৎকার অবকাঠামো, স্ট্যান্ডআউট সংস্কৃতি, বিনোদন এবং মানসম্মত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা ভিয়েনাকে তালিকার শীর্ষে রাখতে ভূমিকা রেখেছে।
ডেনমার্কের কোপেনহেগেন ও অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন রয়েছে তালিকার যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে। মেলবোর্ন ছাড়াও শীর্ষ দশে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার শহর সিডনি (৪)। শীর্ষ দশে স্থান পেয়েছে কানাডার তিনটি শহর—ভ্যাঙ্কুভার (৫), ক্যালগারি (৭) এবং টরন্টো (৯)। সেরা দশের বাকি দুটি শহর সুইজারল্যান্ডের জুরিখ (৬) ও জেনেভা (৮)।
গত বছরের তুলনায় ইউরোপের অন্যান্য শহরগুলোর বাসযোগ্যতার অবনমন ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছে সিএনএন। তালিকা উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, গত বছর যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন ছিল ১২ তম স্থানে। শহরটি এবারের তালিকায় রয়েছে ৪৬ তম অবস্থানে। গত বছর ২২ তম স্থানে থাকা সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম এবার নেমেছে ৪৩ তম অবস্থানে। সবার নিচের দিকের দশে স্থান পেয়েছে ইউক্রেনের শহর কিয়েভ। অবশ্য শহরটি গত বছর বাসযোগ্য শহরের তালিকায়ই ছিল না। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যুদ্ধ এবং এর ফলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিপর্যয় ইউরোপের শহরগুলোর বসবাসযোগ্যতাকে প্রভাবিত করেছে।
তবে এবার তালিকার একদম নিচের দিকে বেশ উত্থান-পতন ঘটেছে। আগের তালিকাগুলোতে যেসব শহর ওপরের দিকে ছিল তারা অনেকেই এবার তালিকার শেষ দিকে নেমে গেছে। বাসযোগ্য শহরের তালিকায় দামেস্কের আগে রয়েছে আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স এবং লিবিয়ার ত্রিপোলি।