মোঃরাজন ইসলাম রাজুঃ গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ৪৩ নং ওয়ার্ড পাগাড় ঝিনু মার্কেট এলাকায় এক বৃদ্ধ মাকে সম্পত্তির লোভে সন্তান মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ বিষয়ে বৃদ্ধ মা রওশন আক্তার (৬৫) বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একাধিক অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পান নি জানান তিনি। বৃদ্ধ মা আরও অভিযোগ করেন,আমার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে, দুই মেয়ে বিয়ে দিয়েছি তারা স্বামীর বাড়ীতে সন্তান নিয়ে বসবাস করে,বড় ছেলে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকে। আমি এবং আমার ছোট ছেলে এ এইচ এম রকিবুল আহসান স্ত্রী সন্তান নিয়ে একত্রে বসবাস করে আসছি।আমার স্বামী মৃত, মোঃ সিরাজ উদ্দিন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর( এম ই এস )এ কর্মরত ছিলেন।তাঁহার উপার্জিত অর্থ দিয়ে খেয়ে না খেয়ে টঙ্গী পাগাড় ঝিনু মার্কেট এলাকায় সাড়ে তিন কাঠা জায়গা ক্রয় করে একটি পাঁচ তলা বিল্ডিং করিয়া বসবাস করিয়া আসছি।আমার ছেলে ও ছেলের বউ আমার চোখের চিকিৎসার কথা বলে আমার নিকট থেকে আমার অংশ জোরপূর্বক লিখে নেয়। আমার অংশ লিখে নেওয়ার পর থেকে তারা আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। গত ২৯ শে জুলাই ২২ ইং তারিখে সন্ধ্যায় আমাকে মেরে বাড়ীর সিড়ির নীচে ফেলে রাখে। পরে আমার বড় মেয়ে রিপা সংবাদ পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে,টঙ্গী পূর্ব থানার এএসআই আতাউর রহমান ঘটনা স্থলে এসে আমাকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান।আমি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতে ফিরলে আমার ছেলে ও ছেলের বউ বাড়ীতে ঢুকতে দেয় না। আমি এখন অন্যের বাড়ীতে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। আমি পরে জানতে পারি আমার ছেলে রফিকুল আহসান রাহেল বাদী হয়ে গত ২৮ শে জুলাই ২২ ইং তারিখে আমি এবং আমার ছোট মেয়ে রেবেকা সুলতানা (৩৫) ও তার স্বামী মাসুদ পারভেজ(৪০)কে আসামি করে, গাজীপুর বিজ্ঞ আদালতে পিঃমোঃনং-৬৭৩/২২ ধারা-১৪৫ ফৌঃকাঃবিঃ একটি মামলা দায়ের করে। এ বিষয়ে ছেলে রফিকুল ইসলাম রাহেল এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার বাসাই ৬ টি সি সি ক্যামেরা আছে ঐ সি সি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেন দেখে আপনারা বিচার করেন যদি আমি আমার মাকে মেরে থাকি। ২৯ শে জুলাই ২২ ইং তারিখের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেন। আমি আমার মা বোন ও বোন জামাইয়ের নামে গাজীপুর বিজ্ঞ আদালতে একটি ১৪৫ মামলা করেছি। আদালত যে রায় দেবে সেটা আমি মেনে নিবো।অনুসন্ধান চলবে।