রাজ‌নী‌তির মা‌ঠে ভু‌লের খেশারত অ‌স্তিত্ব সংকট – দৈনিক মুক্ত বাংলা
ঢাকারবিবার , ২৮ জানুয়ারি ২০২৪
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি-ব্যবসা
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরও
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কোভিট-১৯
  8. ক্যারিয়ার
  9. খেলা
  10. জেলার খবর
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. মি‌ডিয়া
  14. মু‌ক্তিযুদ্ধ
  15. যোগা‌যোগ
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজ‌নী‌তির মা‌ঠে ভু‌লের খেশারত অ‌স্তিত্ব সংকট

বার্তা কক্ষ
জানুয়ারি ২৮, ২০২৪ ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আরিফ হো‌সেন নি‌শির ::

আমে‌রিকার স‌্যাংশন হুম‌কি আর আন্তঃজাতিক মহ‌লের বাধা বি‌রোধী জো‌টের প্রতিহ‌তের আন্দোলন‌কে বেগবান ক‌রে‌ছিল। ভাবাহ‌চ্ছিল সরকা‌রের এবার পতন অ‌নিবার্য ! এতসব হুম‌কির ম‌ধ্যেও দ্বাদশ সংস‌দের নির্বাচনী বৈতরনী পার ক‌রে‌ছে শাসকদল আওয়ামী লীগ। যারা গনত‌ন্ত্রের জন‌্য ক্রন্দনরত, জনগন‌কে মৌ‌লিক দাবী আদা‌য়ে উদ্বুদ্ধ কর‌তে ব‌্যর্থ ! সেই বিএন‌পি ও সমমনা জোট বা দ‌লের অনেক নেতাই  জা‌নেন না নির্বাচনী বৈতরনী পার হবার জন‌্য কিংস পা‌র্টি সৃ‌ষ্টির খেলা নতুন নয় ! খোদ মেজর জিয়ায় ক‌রে‌ছি‌লেন প্রথম, সে‌দিন তি‌নি আওয়ামী লীগ (মা‌লেক) ও আওয়ামী লীগ ( মিজান) দু‌টি না‌মে ব্রা‌কেট বন্দী ক‌রে দি‌য়ে‌ছি‌লেন। এক আওয়ামী লীগ সম্ভবত মা‌লেক গ্রুপ পে‌য়ে‌ছি‌লেন নৌকা প্রতীক আর মিজানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ  মই মার্কা।

তাহ‌লে আজ‌কে বিএন‌পি আবার কিংস পা‌র্টি সৃ‌ষ্টির জন‌্য সরকা‌রি দল আওয়ামী লীগের চৌদ্দগু‌ষ্টি উদ্ধার কর‌লেন ‌কেন ? বোধগম‌্য নয় ! কারণ এ খেলার উদ্ভাবক ও রেফারী তো ছি‌লেন তারাই।

আবার বিএন‌পি নেতারা কেউ কেউ ব‌লেন, সরকারের দমন পী‌ড়ন আর পু‌লি‌শের গু‌লির ভ‌য়ে তানা মা‌ঠে নাম‌তে পা‌রেন না।  জনগ‌নের মৌ‌লিক দাবী গ‌্যা‌স, বিদ‌্যুত, তেল, চাল, ডাল, ভৌজ‌্য তেলসহ নিত‌্যপ‌ণ্যের দাম বৃ‌দ্ধির প্রতিবা‌দের ম‌তো আন্দোলন কর‌তে তারা পা‌রে না। এখন প্রশ্ন তা‌রো যখন সরকা‌রের ছি‌লেন তারা কি বি‌রোধীদল‌কে আদর কর‌তেন ?

আন্দোলন সংগ্রা‌মে কোন বাধা দি‌তেন না ?

সে দিন যারা মা‌ঠে ছি‌লেন তারা জা‌নেন ক’জন আওয়ামী লীগ নেতা প্রাণ হা‌রি‌য়ে‌ছি‌লেন । ম‌তিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ না‌সিম, সা‌জেদা চৌধুরী, তোফা‌য়েল আহ‌মেদ, সাহারা খাতুন,  সা‌বের হোসেন চৌধুরী‌দের‌ ম‌তো রাজনী‌তি‌বিদ‌দেরকেউ রাজপ‌থে পি‌টি‌য়ে রক্তাক্ত যখম করা হ‌য়ে‌ছিল।

২০০৪ সা‌লের একু‌শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা ক‌রে খোদ দলীয় সাভা‌নেত্রী শেখ হা‌সিনাসহ সকল নেতা‌দের উড়ি‌য়ে দেবার চেষ্টা করা হ‌য়ে‌ছিল ! সে‌দিন আল্লাহর অ‌শেষ কৃপায় জন‌নেত্রী শেখ হাসিনা অ‌ল্পের জন‌্য প্রা‌ণে রক্ষা পে‌য়ে‌ছি‌লেন। তি‌নি রক্ষা পে‌লেও ম‌হিলা আওয়ামী লী‌গের সভা‌নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতা প্রাণ হা‌রি‌য়ে‌ছি‌লেন। আহত হ‌য়ে‌ছি‌লেন প্রায় সকল কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা। সাংবা‌দিক‌দের ম‌ধ্যে আমি নি‌জে আহত হ‌য়ে‌ছিলাম সা‌থে এটিএন বাংলার সহকর্মী সাংবা‌দিক বন্ধু রিয়াজুল ইসলাম ওর‌ফে সৈয়দ রিয়াজ, ভি‌ডিও জার্না‌লিষ্ট জা‌কির হো‌সেন মিন্টু, চ‌্যা‌নেল আই এর সাংবা‌দিক আশরাফুল আলম খোকন, প্রধান মন্ত্রীর সা‌বেক ফ‌টোগ্রাফার হা‌বিবুর রহমান হা‌বিবসহ অ‌নে‌কেই।

এতসব পু‌লিশী ও দৃস্কৃ‌তিকা‌রি‌দের হামলার ম‌ধ্যেও আন্দোলন সংগ্রাম থামা‌তে পা‌রেনি সরকার। তত্বাবধায়ক সরকা‌রের দাবী আদায় ক‌রে‌ছিল আওয়ামী লীগ।

উপ‌রের ত‌থ্যে দেখা যায় যে, আস‌লে সরকা‌রি দল বি‌রোধী দ‌লের আন্দোলন সংগ্রাম‌কে বাধাই দেয় আদর ক‌রে না। এটাই স্বাভা‌বিক। অর্থাৎ দল নি‌য়ে টি‌কে থাক‌তে হ‌লে দল‌কে বাচা‌তে হ‌বে। বাচ‌তে হ‌লে বাচা‌তে হ‌বে এই স্লোগান বাস্তবায়ণ কর‌তে হ‌বে। না হ‌লে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের থিউরি সংক‌টের ম‌তো রাজ‌নৈ‌তিক দল গুলো মুস‌লিম লীগ কিংবা ন‌্যাপ হ‌য়ে যাবে। পাশ্ববর্তী দেশ ভার‌তেও এখেলা অ‌স্তিত্ব সংক‌টে কংগ্রেসের ম‌তো  ঐতিহ‌্যম‌ন্ডিত দল। বাংলা‌দে‌শে তো মুস‌লিম ল‌ীগ , ন‌্যাপ এর ম‌তো দল গু‌লো তো জীবন্ত উদাহরণ।

দে‌শে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটেনি। নতুন সংসদের প্রথম অধিবে‌শন বসতে যাচ্ছে আগামী ৩০ জানুয়ারি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসার আগেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ডামা‌ডোল বাজ‌তে শুরু ক‌রে‌ছে।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে সাধারণ নির্বাচন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে উপনির্বাচন, ৯টি পৌরসভা, কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পদে ২৩৩টি সাধারণ ও উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

অর্থাৎ তৃণমূলে নতুন করে নির্বাচনী উৎসবের সূচনা হতে যাচ্ছে। স্থানীয় সরকারের এই ২৩৩টি নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরপরই শুরু হতে যাচ্ছে সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান। এরপর ঈদ। ঈদের পর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে শুরু হতে যাচ্ছে উপজেলা নির্বাচন।
স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের এবারের ঈদ হবে নির্বাচনী ঈদ। একদিকে সংসদ নির্বাচনের পর এটি প্রথম ঈদ। কাজেই নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের গণসংযোগের একটি বড় সুযোগ চলে আসছে সামনে। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদেরও মানুষের কাছে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে আসন্ন ঈদ।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে শুরু হয়ে মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ধাপে ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।নির্বাচন কমিশন এটিও জানিয়ে দিয়েছে যে কোনো রাজনৈতিক দল যদি মনে করে, দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন দেবে না, সে রকম রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো মন্তব্য নেই। সমস্যাও নেই। আইন অনুযায়ী, দুইভাবে মনোনয়ন দেওয়ার নিয়ম আছে।
রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন বা স্বতন্ত্র। আগে নির্বাচিত হননি এমন প্রার্থীদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ২৫০ জনের সমর্থন প্রয়োজন পড়বে। যদি আগে নির্বাচিত হয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর ২৫০ জনের স্বাক্ষর লাগবে না। অর্থাৎ স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অবস্থান পরিষ্কার। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর।দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলীয় নৌকা প্রতীকে প্রার্থী দিচ্ছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ মনে করছে, দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ায় তৃণমূলে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এড়ানো যাবে। অন্যদিকে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকায় নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। পেছনের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, ২০১৫ সালের পর থেকে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন শুরুর পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিপাকে পড়তে হয়েছে। একজনকে প্রতীক দিলে আরেকজন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন। এতে দলীয় শৃঙ্খলা নষ্ট হয়েছে, তৃণমূলে বিভেদ-বিভাজনও সৃষ্টি হয়েছে। দলীয় সংসদ সদস্য, জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিপাকে পড়তে হয়েছে প্রার্থী বাছাই নিয়ে। একেক নেতা একেক প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ায় কোথাও কোথাও পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে গড়িয়েছে। অবশ্য সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদ দুটি উন্মুক্ত রেখেছিল আওয়ামী লীগ।আড়ালের প্ররোচনায়, নানা অজুহাতে সদ্যঃসমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দল থেকে পদত্যাগ করে অনেকে অংশ নিয়েছেন সংসদ নির্বাচনে। আবার সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় অনেককে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়। নির্বাচন বর্জন করতে গিয়ে গণতান্ত্রিক রাজনীতিকেই প্রায় বর্জন করে ফেলেছে বিএনপি। নির্বাচন প্রতিরোধ করতে গিয়ে তাদের রাজনৈতিক পথটিই বোধ হয় রুদ্ধ হয়ে গেছে। আর সে কারণেই দলীয় সিদ্ধান্ত হচ্ছে, উপজেলা নির্বাচনে আসছে না তারা। নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ব্যাপারে আবারও খোঁড়া অজুহাত খাড়া করতে বিলম্ব হয়নি তাদের। তবে এ নিয়ে দলের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি স্পষ্ট হয়ে গেছে। গণমাধ্যমে চোখ রাখলে আমরা দেখতে পাই, এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে বিএনপিতে দুই ধরনের মত তৈরি হয়েছে। নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে নেতাকর্মীদের অবস্থান ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। একই সঙ্গে আপাতত হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচির বিপক্ষেও দলে শক্ত মত তৈরি হয়েছে। বিএনপির একটি অংশ বোধ হয় এমনটি মনে করছে যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলার ভোটও বর্জন করলে ভোটার উপস্থিতি কমানো যাবে। এর মধ্য দিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ভোট বর্জনের নজির স্থাপন করা যাবে।সম্প্রতি দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন ‘শান্তিপূর্ণ হবে না’ বলেই মনে করে বিএনপি। ফলে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত দলটি আগে থেকেই নিয়ে রেখেছে। আবার একটি অংশ মনে করছে, নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সময় এসেছে। এই অংশটির মতে, উপজেলা নির্বাচনে যাওয়ার কৌশল খোঁজা উচিত। তৃণমূলের এই নির্বাচনে গেলে বিএনপির রাজনীতিতে চাঙ্গাভাব ফিরে আসবে। নির্বাচনে যাওয়ার এই সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক হবে না। এর মাধ্যমে বিএনপি স্বাভাবিক রাজনীতিতে ফিরতে পারবে। বিএনপির তৃণমূল খুবই বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে। এখন শুধু সরকারবিরোধী কর্মসূচি দিয়ে তাদের মনোবল চাঙ্গা করা যাবে না। কারচুপি হলেও নির্বাচন সব সময় উৎসবের আবহ তৈরি করে। বিএনপি উপজেলা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলে হাজার হাজার নেতাকর্মী সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে নির্বাচনে যাওয়ার বিপক্ষে যাঁরা মত দিচ্ছেন, তাঁরা মনে করছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। তাঁদের মতে, নির্বাচনে গিয়ে তেমন লাভ হবে না।কিন্তু এটিও তো ঠিক যে নির্বাচনবিমুখ দল রাজনীতি থেকে হারিয়ে যায়। আর সে কারণেই এবার উপজেলা নির্বাচনে না গেলে যে ভুল হবে, তা কাটিয়ে ওঠা বিএনপির জন্য কঠিন হবে। আবার এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হঠাৎ পাল্টানোও বিএনপির জন্য কঠিন। তাহলে কী করবে বিএনপি? এমন সিদ্ধান্ত কি নিতে পারবে, যাতে সব কূল রক্ষা হয়? হ্যাঁ, এমনটি হতে পারে যে দলীয়ভাবে না গিয়ে নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন। সে ক্ষেত্রে দল নেপথ্যে তাঁদের অনানুষ্ঠানিকভাবে সহযোগিতা করবে।

এটিই বোধ হয় বিএনপির জন্য সহজ সমীকরণ হতে পারে। প্রতিহত, প্রতিরোধ কিংবা বর্জন করতে গিয়ে বিএনপি নামের রাজনৈতিক দলটি কিছু অর্জন করতে পারেনি, বরং হারিয়েছে অনেক কিছু। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে এমনটি বলছেন, দলটির রাজনৈতিক অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে। এই অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ার শঙ্কা থেকে মুক্তির পথ হতে পারে আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচন। রাজনৈতিকভাবে বিএনপি নিশ্চয় এটুকু বুঝতে পারে যে জনসম্পৃক্তি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন একটি বড় সুযোগ। সেই সুযোগটি যখন সামনে চলে আসে, তখন তা গ্রহণ করার তো কোনো বিকল্প নেই। সুযোগ তো আর বারবার আসবে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার না করায় বিএনপি নেতাদেরও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে এই সুযোগ কেউই হাতছাড়া করতে চাইবেন না। কাজেই তৃণমূলের নেতারা নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে নির্বাচনে অংশ নেবেন। আর তেমনটি ঘটলে দলীয় শৃঙ্খলা কি থাকবে?

কেবল বিরোধিতার স্বার্থে বিরোধিতা আর বিদেশিদের দিকে তাকিয়ে থাকতে গিয়ে বিএনপি রাজনীতির মূল ট্র্যাক থেকে দূরে সরে গেছে। এখন তাকে ট্র্যাকে ফিরতে হবে। সে জন্য তার দরকার একটি নিরাপদ পথ, যে পথ দিয়ে নিরাপদে রাজনীতির রেসে আবার ফিরে আসা যায়। সেই পথটি হতে পারে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। ৪৫ বছর বয়সী বিএনপি নেতৃত্ব রাজনৈতিকভাবে কতটা সাবালক কিংবা দূরদর্শী হয়ে উঠতে পেরেছে, সেটা প্রমাণ করার সময় চলে এসেছে। স্থানীয় নির্বাচনের এই পথ দিয়ে রাজনীতির রেসে আবার ফিরে আসার সুযোগ না নিলে সেটাই হবে বিএনপির আরেকটা ঐতিহাসিক ভুল। রাজনীতির কফিনে শেষ পেরেক।

বিএনপি অর্থাৎ ইংরেজিতে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি, বাংলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। রাজনীতি থেকে দূরে সরে যেতে যেতে বিএনপি হয়তো একদিন জনসমর্থনহীন একটি সংগঠনে পরিণত হবে। তখন হয়তো দলটির সাইনবোর্ড থাকবে।

মুস‌লিম লীগ কিংবা ন‌্যাপ হ‌য়ে যা‌বে। রাজ‌নৈ‌তিক ভু‌লের খেশারত নি‌জে‌দের‌কেই দি‌তে হ‌বে।

লেখক : টে‌লি‌ভিশন সাংবা‌দিক ও দৈ‌নিক মুক্ত বাংলা সম্পাদক ।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।