রমনায় শেষ হলো ছায়ানটের বৈশাখী উৎসব – দৈনিক মুক্ত বাংলা
ঢাকারবিবার , ১৪ এপ্রিল ২০২৪
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি-ব্যবসা
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরও
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কোভিট-১৯
  8. ক্যারিয়ার
  9. খেলা
  10. জেলার খবর
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. মি‌ডিয়া
  14. মু‌ক্তিযুদ্ধ
  15. যোগা‌যোগ

রমনায় শেষ হলো ছায়ানটের বৈশাখী উৎসব

বার্তা কক্ষ
এপ্রিল ১৪, ২০২৪ ১২:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতি‌বেদক ::

রমনার বটমূলে শেষ হয়েছে ছায়ানটের বৈশাখী উৎসব। রোববার সকাল সোয়া ৬টায় এই উৎসব শুরু হয়েছিল। উৎসবে অংশ নেন দেশের ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, ধনী নির্বিশেষে সব শ্রেণিপেশার মানুষ। ফলে পহেলা বৈশাখের এই আয়োজন এক বর্ণাঢ্য মহোৎসবে রূপ নেয়। পরে সকাল ৯টায় বৈশাখী উৎসব শেষ হয়।

উৎসবে যোগ দেয়া লোকজন জানিয়েছেন,সারা বিশ্বের বাংলাভাষী মানুষের জন্য আজ একটি বিশেষ দিন। পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন লোক-উৎসব। আনন্দ আর উচ্ছ্বাসের মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর দিন। পুরনো বছরের সব দুঃখ, জরা, কষ্ট, অভিমান ভুলে জীবনকে নতুন করে সাজানোর প্রত্যয় নেয়ার দিন। অতীতের ভুল-ত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধ করার দিন আজ।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর ছয়টা থেকে রমনা বটমূলে মানুষের ঢল নামে। তাদের পোশাকে স্থান পায় লাল-সাদার প্রাধান্য। নারীরা লাল-সাদা শাড়ি, কাচের চুড়ি, দুল-মালায় বাঙালিয়ানায় সেজেছেন। পুরুষের গায়ে শোভা পেয়েছে একই রং-নকশার পাঞ্জাবি। তারা রমনা বটমূল ছায়ানটের প্রভাতি অনুষ্ঠানের গান, কবিতা আসরে যোগ দেন। অনুষ্ঠান শেষে তারা রমনা পার্কের বিভিন্ন অংশ ঘুরছেন ছবি তুলছেন।

রাজধানী ইসিবি থেকে রমনার বৈশাখী উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন জাহানারা আক্তার ও তার ছোট বোন সাবিনা আক্তার রুমি। তারা বলেন, ‘আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বাজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়। এ উৎসব আমাদের মনের ভিতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে আমাদের নতুন উদোমে বাঁচার অনুপ্রেরণা যোগায়।’

এবারের আয়োজনে সম্মেলক গান ১১টি, একক গান ১৫টি এবং পাঠ ও আবৃত্তিও ছিল। এ আয়োজনকে ঘিরে পুরো রমনা পার্ক এলাকা নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। পার্কের ভেতরে ডিএমপি, র‌্যাবের কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে।

পর্যটকদের সহায়তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের টিম, লেকে নৌপুলিশের টিম, মেডিকেল টিম, লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার, রক্তদানের বুথ রয়েছে। এছাড়া, ডিএমপির পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা রয়েছে।

জানা গেছে, সিসিটিভি দিয়ে পুরো এলাকার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়া, ওয়াচ টাওয়ার, ড্রোনের মাধ্যমে আশে-পাশের এলাকায় নজরদারি করা হচ্ছে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই রয়েছে, তারা মহড়াও করেছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।