নিজস্ব প্রতিবেদক ::
ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সম্প্রতি আচার্য বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) ট্রেজারার অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমদ। তিনি আসলে মফস্বল শহর শাহজাদপুরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির কাম্পাস যা জেলা শহর ও নয়। যেখানে বসবাস করে দায়িত্ব পালন তার জন্য কঠিন। জেলা শহর সিরাজগঞ্জ থেকে ৩০ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত একটি উপজেলা শাহজাদপুরে অবস্থিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া করা কাম্পাস ও একাডেমী ভবনে চলে শিক্ষা কার্যক্রমভ। যেখানে তিনি পরিবার নিয়েও বসবাস করতে পারছেন না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির নিয়োগ দেয়া পদটি ছাড়তে চাইছেন ট্রেজারার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ও রবি সূত্র জানা গেছে,
বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস এডমিনিষ্ট্রেশন বিভাগের অধ্যাপক ড, ফিরোজ আহমেদ। তিনি তার পদত্যাগের কারণ ব্যক্তিগ উল্লেখ করেছেন।
সম্প্রতি দেশের নবীন এ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমদ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস মফস্বলে হওয়ায় যদি পদস্থ কমর্ককর্তারা দায়িত্ব থেকে সরে যেতে চান ! তাহলে মান মম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জেলা বা উপজেলাতে গড়ে উঠবে কিভাবে ? কিংবা মান ধরে রাখবে কিভাবে ? এমনি প্রশ্নের জন্ম নেয়ায় তার পতত্যাগ পত্রটি গ্রহণ না করে গত ১০ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে বিষয়টির সমাধানের জন্য জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এখন বিশ্ববিদ্যালয়টির সিন্ডিকেটে আলোচিত হয়ে সিদ্ধান্ত আকারে যাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।
এর আগে ২০২০ সালের ১৬ আগস্ট ৪ বছরের জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিসিপ্লিনের এই অধ্যাপককে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। সে হিসেবে চলতি বছরের আগস্টে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
এ নিয়ে জানতে চাইলে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমদ বলেন, এটা আসলে মিডিয়াতে আসার মতো কোনো বিষয় নয়। বিষয়টি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। আমি মন্ত্রণালয়ের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। তবে মন্ত্রণালয় সেটি গ্রহণ না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট হয়ে আসার জন্য বলেছে। তবে সেখানে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রসেসের কথাও বলা হয়নি। লিখিতও কোনো কিছু থাকবে বিষয়টি এমন নয়। রবীন্দ্র বিশ্বদ্যিালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমদ জানান, এরকম কিছু নয়। তবে আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় আমার পরিবার থাকে অন্যখানে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস ভবন কিংবা নেই নিজস্ব একাডেমিক ওআবাসিক ভবন। ভাড়া করা ব্যবস্থায় চলছে এর কার্যক্রম । যে অবস্থাও তেমন মান সম্মত নয়। সেজন্য আমি এখন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যেতে চেয়েছি। আমার এখানে ভালো লাগছে না।
ট্রেজারের পদত্যাগ বিষয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ্ আজম জানান, ট্রেজারার সাহেব আমাকে জানিয়েছেন—তিনি আবারও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যেতে চান। সেজন্য তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এখন মন্ত্রণালয় যেহেতু সিন্ডিকেটে আলোচনার জন্য জানিয়েছে—আমরা তাই করবো।
এর মধ্যে তিনি (ট্রেজারার) যদি তার মতামত বদলান তাহলে তিনি থেকে যাবেন বলে জানান উপাচার্য।