ভাস্কর সরকার ::
ছবিটি ” লেডি মেহেরবাঈ টাটা ”
তার গলায় ঝুলছে ২৪৫ ক্যারাটের একটি হীরা ।
এটির আকারে কোহিনূর হীরার দ্বিগুণ ।
এই হীরাটি তার স্বামী ডোরাবজী টাটা ০১.০১. ১৯০০ সালে তাকে উপহার দিয়েছিলেন তারিখ ও সালকে কেন্দ্র করে ।
লেডি মেহেরবাঈ টাটা ১৯২৪ সালে প্যারিস অলিম্পিকে টেনিসে মিক্সড ডাবলসে খেলেছিলেন । ৩৬ বছর বয়সে
তিনি শাড়ী পরতে ভালোবাসতেন । তাই সবসময় শাড়ীই পরতেন ।
তিনি ১৯৩১ সালে লিউকোমিয়াতে মারা যান
এরপর তার স্বামী ডোরাবজী টাটা তাঁর সেই হীরা ও অন্য সমস্ত গয়না বিক্রি করে একটি তহবিল গঠন করেন এবং সেই তহবিল থেকেই ” টাটা ক্যান্সার হসপিটাল ” এর সৃষ্টি হয় ।
হাজার হাজার ক্যান্সার রোগী প্রতিবছর এই হাসপাতালে গিয়ে নিজের চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন ।
নোবেল জয়ী ব্রিটিশ সাহিত্যিক উইলিয়াম গোল্ডিং এই টাটা ক্যান্সার হাসপাতাল দেখে তার একটি বিখ্যাত ” দু:সাহসিক কাজ ” উপন্যাসে বলেছেন –
” মেয়েরা বোকা দেখেই তাঁরা পুরুষের সমান অধিকার দাবি করে ।
কারন মেয়েরা জানে না , তাঁরা পুরুষের চেয়ে অনেক বেশী উচ্চতর ।
মেয়েদের আপনি যাই দেন না কেন , সে সেটাকে আরও উচ্চতর কিছু বানিয়ে দিবে ।
আপনি মেয়েদের শুক্রাণু দিবেন , সে আপনাকে সন্তান দিবে ।
আপনি তাকে একটা ঘর দিবেন , সে সেটাকে বাড়ি বানিয়ে ফেলবে ।
আপনি তাকে বাজার দিবেন , সে আপনাকে রান্না করে খাবার বানিয়ে দিবে ।
আপনি তাকে হাসি দিবেন, সে আপনাকে হৃদয় দিয়ে দিবে ।
আপনি যাই দিবেন সে তাই কয়েক গুন মহৎ করে ফেরত দিবে ।
আর আপনি যদি তাকে যন্ত্রণা দেন , তবে রেডি থাকুন , সে আপনার জীবন জাহান্নাম বানিয়ে দিবে ”
শুভ সকাল
” ভালো থাকুন সবাইকে নিয়ে ”# তথ্য সংগ্রহ