নিজস্ব প্রতিবেদক ::
অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিরা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, অটিজমবিষয়ক সচেতনতা সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিরাও যেন দেশের অন্যান্য নাগরিকের মতো সমান অধিকার ও সম্মান পায়, সেই দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে হবে। তাদের যথাযথ পরিচর্যা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে তাদের সমাজে টিকে থাকার মতো সক্ষম করতে হবে।
অটিজম বিষয়ে সচেতনতা তৈরি ও প্রাথমিক জ্ঞানের বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তথ্যের অবাধ প্রবাহের যুগে বাস করছি। দেশ এখন শতভাগ ডিজিটাল। প্রচলিত গণমাধ্যমের বাইরেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আমরা তাৎক্ষণিক দেশ-বিদেশের খবরাখবরসহ অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারি। ইন্টারনেটের ওপেন সোর্সের মাধ্যমে আমরা অটিজমসহ স্নায়ুবিক অন্যান্য ডিজঅর্ডার সম্পর্কে জেনে সচেতন হতে পারি।’
দীপু মনি বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, অটিজমবিষয়ক গবেষক ও চিকিৎসকের বাইরেও ব্যক্তিগত বা সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে পারি। একটি শিশুর বিকাশের প্রথম দিকেই যদি বাবা-মা বা তার অভিভাবক যদি বুঝতে পারে যে, তার শিশুটির স্নায়ুবিক প্রতিবন্ধিতা রয়েছে তাহলে তার চিকিৎসা, পরিচর্যা, জীবনধারণ ও বেড়ে ওঠা অনেক সহজ হবে। অটিজম বা স্নায়ুবিক প্রতিবন্ধিতা নিয়ে সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন কুসংস্কার থেকেও তারা রেহাই পাবে।’
অনুষ্ঠানের শেষে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তি ও শিশুদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল, ‘সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন: শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম সেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হক এমপি।