বাস-‌পিকাপ সংঘ‌র্ষে একপ‌রিবা‌রের ৫জনসহ ১৪জ‌নের মৃত‌্যু – দৈনিক মুক্ত বাংলা
ঢাকামঙ্গলবার , ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি-ব্যবসা
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরও
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কোভিট-১৯
  8. ক্যারিয়ার
  9. খেলা
  10. জেলার খবর
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. মি‌ডিয়া
  14. মু‌ক্তিযুদ্ধ
  15. যোগা‌যোগ

বাস-‌পিকাপ সংঘ‌র্ষে একপ‌রিবা‌রের ৫জনসহ ১৪জ‌নের মৃত‌্যু

বার্তা কক্ষ
এপ্রিল ১৬, ২০২৪ ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ফরিদপুর প্রতি‌বেদক ::

ফরিদপুরে পিকআপ ভ্যানে বাসের ধাক্কায় ১৪জন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে সদর উপজেলার কানাইপুরের তেঁতুলতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, সকালে ইউনিক পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে মাগুরা যাচ্ছিল। অন্যদিকে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থেকে জেলা সদরে যাচ্ছিল পিকআপ ভ্যানটি। পথে ফরিদপুর সদরের কানাইপুরের তেঁতুলতলা এলাকায় পিকআপটিকে ধাক্কা দেয় বাস। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন।

ওসি আরও জানান, দুর্ঘটনায় আহত চারজনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বাকি দুজন।

 এ দুর্ঘটনা নিহত এক প‌রিবা‌রের ৫ জনে একজন ফ‌রিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা তারা মিয়ার সন্তান রাকিবুল ইসলাম মিলন (৪০) চাকরি করতেন ঢাকায় সচিবালয়ে লিফটম্যান হিসেবে।

 

সচিবালয়ে চাকরির সুবাদে পরিচিতদের মাধ্যমে সম্প্রতি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি পরিবারের জন্য তদবির করে ত্রাণ হিসেবে কয়েক বান্ডিল টিন বরাদ্দ আনেন। এরপর আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে একটি পিকআপে করে নিজের পরিবারের সদস্যদের সাথে আশপাশের গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে সেই টিন আনতে যাচ্ছিলেন ফরিদপুরে। ফরিদপুরে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে থেকে ত্রাণ এর টিন নিয়ে ফিরে যাবেন ঢাকা। কিন্তু পথিমধ্যে বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকিবুল ইসলাম মিলনের স্ত্রী সুমি বেগম (৩০) ও দুই সন্তান আবু রায়হান (০৭) আবু সিনান (০৫)-সহ ১৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

 

এ দুর্ঘটনায় মর্জিনা বেগম (৭০) নামে মিলনের একজন নানি শাশুড়িরও মৃত্যু হয়। মর্জিনা বেগম একই গ্রামের ওহাব মোল্লার স্ত্রী।

দুর্ঘটনার খবরে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

রাকিবুল ইসলাম মিলনের মামাতো ভাই নুরুজ্জামান খসরু বলেন, ঢাকা থেকে কয়েকটি দরিদ্র পরিবারের জন্য ত্রাণের টিনের ব্যবস্থা করে সোমবার বিকেলে বাড়িতে আসে মিলন। সকালে ফরিদপুর রওনা হয়। তার আগে গত রাতে সর্বশেষ কথা হয় তার সাথে। বলেছিল, ত্রাণের টিনগুলো বুঝিয়ে দিয়ে ওই পথেই চলে যাবে ঢাকা। কিন্তু এটিই যে তার শেষ যাওয়া সেটি কি কেউ জানত।

তিনি আরও বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা তারা মিয়ার তিন ছেলের মধ্যে মিলন মেজ ছিলেন। তার বড় ভাই ফরিদুল ইসলাম একজন স্কুলশিক্ষক।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।