বছরে কোটি কোটি টাকার লাগা‌নো গাছ যায় কোথায় – দৈনিক মুক্ত বাংলা
ঢাকাশনিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি-ব্যবসা
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরও
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কোভিট-১৯
  8. ক্যারিয়ার
  9. খেলা
  10. জেলার খবর
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. মি‌ডিয়া
  14. মু‌ক্তিযুদ্ধ
  15. যোগা‌যোগ
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বছরে কোটি কোটি টাকার লাগা‌নো গাছ যায় কোথায়

বার্তা কক্ষ
এপ্রিল ২৭, ২০২৪ ৫:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতি‌বেদক ::

চলমান দাবদাহে তীব্র গরমের আঁচ গায়ে লাগতেই রাজধানীতে শুরু হয়েছে গাছ লাগানোর হাঁকডাক। প্রতিবছর ঢাকঢোল পিটিয়ে লাগানো হয় লাখ লাখ গাছ। কিন্তু প্রশ্ন হলো ফি বছর রোপণ করা এতো এতো গাছ যায় কোথায়? বাস্তবতা হচ্ছে, কোটি টাকা খরচ করে গাছ রোপণ করা হয় ঠিকই; কিন্তু বাঁচিয়ে রাখারস্ব প্রতি‌বেদক  জন্য নেয়া হয় না ন্যূনতম কোনও যত্ন।?

গতবছরও পান্থকুঞ্জ পার্ক গাছে পরিপূর্ণ ছিল, কিন্তু ২০২৪ সালে এসে উন্নয়নের কোপ পড়েছে প্রতিটি বড় গাছের গোড়ায়। পার্কটি এখন অনেকটাই গাছশূন্য। 
gph ispat regular
crown cement mi cemet regular

সীমাহীন অবহেলায় গলা টিপে টিপে গাছের এমন হত্যাযজ্ঞ চললেও যেনো কারো নেই কোনো দায়, নেই কোনো জবাবদিহিতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন সবুজ ঘিরে এমন নাটক বন্ধ না হলে মুক্তির আর কোনো পথই খোলা নেই।

২০২০ সালে রাজধানীর বাংলামোটরে রোপণ করা হয়েছিল একটি গাছ। বয়সের হিসেবে গাছটি চার বছর পার করে ফেলেছে। কোনো রকম প্রস্তুতি ছাড়াই ইট-পাথরের ভাঁজে লাগানো গাছটি এখনো টিকে আছে; এক প্রকার ধুকে ধুকে বেঁচে থাকার মতো।
ওই সময়ই  গনমাধ‌্যম চো‌খে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, বৃক্ষ রোপণের নামে রাজধানীতে চলা নৈরাজ্য। কিন্তু প্রশ্ন হলো চার বছরের ব্যবধানে কতোটুকু বদলেছে পরিস্থিতি?

সবুজ বন্ধু গাছের সামগ্রিক চিত্র দেখার আগে নজর দেয়া যাক চার বছর আগে অর্থাৎ প্রায় একই সময়ে একই এলাকায় লাগানো অন্যান্য গাছের দিকে। তবে গাছের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর। পরিচর্যার অভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে অনেক আগেই।
gph ispat regular
crown cement mi cemet regular
গাছ রোপণে কোথাও নেই কোনো পরিকল্পনা। পথের ধারে মাটির কিছুটা অস্তিত্ব মিললেই পুঁতে দেয়া হয় গাছ। করা হয় না মাটির পরিমাণ কিংবা গাছের প্রজাতি নিয়ে কোনোরূপ বাছবিচার। এ যেনো তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়!
কথা ছিলো বিভিন্ন ফাঁকা জায়গার মতো সবুজে ভরে উঠবে ফুটওভার ব্রিজও। সেই লক্ষ্যে লাগানো হয় দৃষ্টিনন্দন গাছও। কিন্তু ধুকে ধুকে নিঃশেষ হওয়া গাছের খালি টব এখন রূপ নিয়েছে দৃষ্টিদূষণের কারণ হিসেবে।

এতো গেলো বৃক্ষ রোপণ কিংবা যত্নআত্তির বিষয়; কিন্তু এর বাইরেও উন্নয়ন কিংবা প্রয়োজনের অযুহাতে এ শহর থেকে এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হয়নি সবুজ নিধন। বিনিময়ে বিক্ষিপ্ত ও অপরিকল্পিতভাবে কিছু গাছ রোপণ করা হলেও সেখানেও নেই কোনো যত্নের ছোঁয়া। একটি আদর্শ নগরীতে সবুজের প্রয়োজন অন্তত ২০ ভাগ, যদিও ঢাকায় আছে মাত্র ৮ ভাগ।

এর মধ্যে আবার সমৃদ্ধ আর পরিবেশবান্ধব গাছ মাত্র ২ ভাগ। পরিণাম, এ নগরীতে গত সাত বছরে তাপমাত্রা বেড়েছে তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস্।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আ ফ ম জামাল উদ্দিন বলেন, এক সময় বড় বড় গাছ ছিল। পরে তা কেটে সৌন্দর্যবর্ধনের নামে ছোট ছোট গাছ লাগানো হয়েছে। কিন্তু সেগুলোও তো ঠিকমতো অক্সিজেন দিচ্ছে না। এর ফলে বাতাসে অক্সিজেন কমে যাচ্ছে, কার্বন-ডাই অক্সাইড বেড়ে যাচ্ছে।
gph ispat regular
crown cement mi cemet regular
এ অধ্যাপকের মতে, ঢাকায় এতোদিন যা গাছ লাগানো হয়েছে অধিকাংশই পরিকল্পনা ছাড়া। যার পরিণাম আজকে সবাই ভোগ করছে।  

এমন অবিচারের কারণ হিসেবে দিনের পর দিন কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনা ও জবাবদিহিতার অভাবকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও পরিকল্পিত বৃক্ষরোপণে ফেরার প্রতিশ্রুতি সংশ্লিষ্ট দফতরের।

অধ্যাপক ড. আ ফ ম জামাল উদ্দিন প্রশ্ন রেখে বলেন, আগের বছর শুনি দুই লাখ বা তিন লাখ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। পরের বছরও শুনি একই কথা। তাহলে আগের বছর যে গাছগুলো লাগানো হয়েছে, সেগুলো গেল কোথায়? মানে হচ্ছে, আগের বছর যে এক লাখ গাছ লাগানো হয়েছে, তা মারা গেছে। এ বছর একই জায়গায় আবার গাছ লাগানো হবে।

এ বিষয়কে নাটকের সাথে তুলনা করলেন এ উদ্যানতত্ত্ববিদ। তিনি বললেন, দাবদাহে প্রাণ-প্রকৃতির এ ছন্দপতন থেকে মুক্তির জন্য বিকল্প নেই সবুজ বিপ্লবের।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।