আহমেদ বিন আলম :
তামিম পরে ব্যাট করবে এটা বোর্ড বলার অধিকার রাখে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি বলেন, ‘ আমার যদি ক্রিকেট জ্ঞান বিন্দুমাত্র থাকে, এই জিনিসটা ক্রিকেট বোর্ডের কেউ বলার বিষয় না। এটা বলবে একমাত্র কোচ বা অধিনায়ক বা নির্বাচকরা যিনি যাবেন দলের সঙ্গে।’ বৃহস্পতিবার ( ২৮ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
মাশরাফি বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে তামিমকে বলা হয়েছিল সে যেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ না খেলে কিংবা খেললেও দলের প্রয়োজনে পরে ব্যাট করে। এটা নাকি তাকে ক্রিকেট বোর্ডের কোনো এক কর্মকর্তা ফোন করে বলেছিল। যে কারণে তামিম রিয়্যাক্ট করে। তবে সে (তামিম) কোন পজিশনে ব্যাট করবে, এটা বলার অধিকার ক্রিকেট বোর্ডের কেউ রাখে না। বললে ক্যাপ্টেন কিংবা কোচ বলবে।’
তিনি বলেন, তামিম ম্যানশন করেছে তার বক্তব্যে, ক্রিকেট বোর্ড থেকে যিনি কথা বলেছে, তিনি হয়তো বলেছে তুমি প্রথম ম্যাচে একাদশে থেকো না; থাকলেও নিচের দিকে ব্যাটিং করো। এখানে বেশ কিছু কথা বলার আছে। ’
তামিমকে কবে কোন পরিস্থিতিতে মিডল অর্ডারে খেলার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, তা নিয়েও সমালোচনা ঝরলো মাশরাফির কণ্ঠে, ‘প্রথম হচ্ছে তামিম হয়তো কিছুটা উত্তেজিত হয়ে বলেছে। কিন্তু তার ভিত্তিতে তাকে দলে না রাখা আসলে কেমন হলো একটা জিনিস। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে তামিমকে এই বিষয়টা কিন্তু যে তুমি প্রথম ম্যাচ খেলো না বা খেললেও নিচে ব্যাটিং করো। আমার যদি ক্রিকেট জ্ঞান বিন্দুমাত্র থাকে, এই জিনিসটা ক্রিকেট বোর্ডের কেউ বলার বিষয় না। এটা বলবে একমাত্র কোচ বা অধিনায়ক বা নির্বাচকরা যিনি যাবেন দলের সঙ্গে। মূল কথা হচ্ছে টিম ম্যানেজন্টে বলবে।
তিনি আরও যোগ করেন, টিম ম্যানেজমেন্ট যদি বলেন সেই জিনিসটা বাংলাদেশ থেকে বলতে পারে, দল ঘোষণার পরও বলতে পারে ইন্ডিয়া গিয়ে বসেও বলতে পারত। ম্যাচের একদিন আগে, দুই দিন আগে যেটা পরিস্থিতি অনুযায়ী বলতে পারতো। উইকেট দেখার পর কোচ-অধিনায়ক একটা সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সেটা এতো আগে করার কারণটা আসলে কি আমি জানি না। এই প্রশ্নটা আমার কাছে মনে হয়েছে।