উওরা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মোর্শেদ আলম ফুটপাত বন্ধ ঘোষণা করার পরও থানা পুলিশের নাকের ডগায় চলছে ফুটপাত।
তুরাগ খালপার নামলেই যে কাউকে বেশ বিপাকে পড়তে হবে। নামমাত্র হাঁটার পথ আছে তবে সেটাতে হাঁটার অবস্থা নেই। পথচারীর চাইতে পণ্য ও পথব্যবসায়ীদের সংখ্যার আধিক্য চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে বিকেল থেকে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খালপার পরিণত হয় বাজারে, যা ছড়িয়ে পরে মূল সড়কে। ক্রেতা বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে পড়ে এই এলাকা। এসময় ফুটপাথ দখলদারদের দৌরাত্মের কারণে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই মূল সড়ক ধরে চলাচল করতে হয় পথচারীদের।অন্যদিকে তিন চাকার নিষিদ্ধ ঘোষিত অটোরিকশা। এই সকল অটোরিকশা অনুমতি না থাকলেও ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করেই চলছে বলে জানা যায়। তুরাগ সহ উওরার বিভিন্ন জায়গায় দাঁপিয়ে বেড়ায়।কিছুদিন পরপর ঘটছে বিভিন্ন দূর্ঘটনা।
খালপার দক্ষিণপাশে প্রায় ২ কিলোমিটার পর্যন্ত পুরোটা ফুটপাতে চোখে পড়বে ফল, পোশাক আর বিভিন্ন প্রসাধনীর দোকান। সড়কের উভয় পাশে ফুটপাতের দখল চোখে পড়ার মতো। ফুটপাতগুলো অবৈধ দখলে চলে যাওয়ায় যানজটের ভোগান্তিতেও পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মহাসড়কের উপর ভ্রাম্যমাণ কাঁচাবাজারে সড়কের উভয় পাশের অর্ধেক দখল হয়ে যায়।তুরাগ খালপার ফুটপাতের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে,এই সকল দোকান পাট বসানোর আগে একটি সিন্ডিকেটের সাথে কথা বলতে হয়।এর সাথে রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশের মদদ রয়েছে।
রহিম নামে এলজন দোকানী,প্রতিদিন ৫০০ টাকা দিতে হয় মিরাজ নামে এক ব্যক্তিকে।তিনি নাকী পুলিশের লোক।টাকা না দিলেই উঠিয়ে দেয়।আমরা গরিব মানুষ কি করবো।এই দোকান দিয়েই সংসার চালাই।
এই বিষয় ডিয়াবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এস আই আলামিন বলেন,প্রায় প্রায় ফুটপাতে উপর অভিযান করি। আবার বসে।টাকা তোলার বিষয় বললে তিনি বলেন, এই বিষয় আমি কিছু জানি না।কে বা কারা নেয় তাও জানিনা।
এই বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, এর আগে অনেকবার এখানে উচ্ছেদ অভিযান হয়েছে।আমরা আবার অভিযান করব এবং স্থায়ীভাবে জায়গা দখল নিয়ে নেব।